03 December 2015

চিটাগাংকে হারিয়ে আবারো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে কুমিল্লা


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ম্যাচের ভাগ্য বদলাচ্ছিল বারবারই। একবার চিটাগং ভাইকিংসের দিকে, অন্যবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দিকে। আর ভাগ্যের এই দোলাচল চললো শেষ ওভার অবধি। আর তাতে জিতে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা। জিতে গেল পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
শেষ ওভারে দরকার ছিল সাত রান। প্রথম বলে নো বলের সৌজন্যে পাওয়া সুযোগে সেই পথটা আরও সুগম হয়ে যায়। ফলে দুই বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সাত ম্যাচে এটা তাদের পঞ্চম জয়।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা চিটাগং ভাইকিংস পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উমর আকমলের ৩৪ বলে করা ৪৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৩৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে এটা বড় লক্ষ্য নয়। তারপরও ম্যাচটা চললো শেষ ওভার অবধি। আর তাতে ২০ তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক।
পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ ৩৭, ইমরুল কায়েস ৩৫ ও শোয়েব মালিক ৩৪ রান করেন। চিটাগংয়ের হয়ে দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। জানিয়ে রাখা ভাল, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরে এটা চিটাগংয়ের অষ্টম ম্যাচে ষষ্ঠ পরাজয়।
স্বাগতিক দলের হার দিয়ে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের ইতি ঘটলো!



শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: