24 November 2015

মাশরাফি-স্যামুয়েলস ঝড়ে কুমিল্লার বড় জয়


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) তৃতীয় আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মারলন স্যামুয়েলস ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অপরাজিত অর্ধশতকে ভর করে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে তামিবাহিনীকে হারিয়েছে কুমিল্লা। চিটাগংয়ের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০ রান তুলতেই দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসকে হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা মারলন স্যামুয়েলসের সঙ্গে দলের হাল ধরেন শুভাগত হোম। ৪৪ রানের জুটিটাও ভাঙে হোমের ফেরা দিয়েই। শফিউল ইসলামের বলে তিলকারত্নে দিলশানের কাছে ক্যাচ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ১৬ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর মাঠে নামেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে পরাজিত হওয়ার ঘা শুকানোর জন্য জয়টা মাশরাফির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। এই জুটিতেই জয় তুলে আনেন মাশরাফি। একদিকে স্যামুয়েলস ৫২ বল মোকাবেলা করে  ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন অন্যদিকে, ৩২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মাশরাফি। দুজনেই অপরাজিত থেকে ১.১ ওভার হাতে রেখে জয় তুলে নেয়। চিটাগংয়ের পক্ষে মোহাম্মদ আমির দুইটি উইকেট নিয়েছেন। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যট করতে নামে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস। শুরুতেই দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিলকারত্নে দিলশানের ৬৩ রানের জুটি দলকে এগিয়ে নেয়।  ৩৬ রান করে ফিরলে মাঠে নামেন এনামুল হক। এদিন ৩০ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানও করেন ৩৯ রান। অধিনায়ক তামিম ইকবাল খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রান বতুলতে সমর্থ হয় দলটি। অন্যদিকে, কুমিল্লা দলের বোলার আজহার জাইদি দুইটি উইকেট নেন। এই ম্যাচে একটি উইকেট ও অপরাজিত ৫৬ রানের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।  




শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: