26 November 2015

বরিশালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় কুমিল্লার


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৯০ রানের লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিবেচনায় স্রেফ কিছুই না। আর সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সতর্ক ও ধীরে ব্যাট করলেও জয় নিয়ে কোন শঙ্কা রাখে নি। ১২ বল বাকি থাকতেই দলটি পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতে যায় আট উইকেটের বড় ব্যবধানে। আগের দুই ম্যাচে বরিশাল এক রকম চমকেই দিয়েছিল। কাগজে কলমে খানিকটা দুর্বল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল টানা দুই জয় পাওয়ার পরই নেমে এলো মাটিতে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অল আউট হওয়ার আগে ১৮ ওভার তিন বলে করলো মাত্র ৮৯ রান। এর এই নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মত কোন দল ১০০-এর নিচে অল আউট হল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে তাই বলা যায় এক রকম লজ্জার মুখেই পড়তে হল বরিশালকে। এর থেকে কম রানে বিপিএলে অল আউট হওয়ার নজির রয়েছে আর মাত্র তিনটি। বরিশালের মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান পৌঁছাতে পেরেছেন দুই অংকের ঘরে। তারা হলেন কেভন কুপার (২২), রনি তালুকদার (১৭) আর সাব্বির রহমান রুম্মান (১০)। আর অতিরিক্ত খাতে থেকে আসা ১২ রান বাদ দিলে বাকি আট ব্যাটসম্যান মিলে রান করেছেন মাত্র ২৮ রান। বরিশালের ইনিংসে সবচেয়ে বড় ধ্বসটা নামান মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের পেসাররা। লঙ্কান পেসার নুয়ান কুলাসেকারা তিনটি ও বাংলাদেশের তরুন বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনি নেন দু’টি উইকেট। এছাড়া আসহার জায়দি তিনটি ও সুনীল নারাইন নেন একটি উইকেট। জবাব দিতে নেমে, সবচেয়ে বড় ভূমিকাটা রাখেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান। ৩১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে গেল কুমিল্লা। আর বরিশালের এটা প্রথম পরাজয়। এর আগে তারাও জিতেছে দু’টি ম্যাচ। শুক্রবার, দু’পুর দু’টায় কুমিল্লার প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স। অন্যদিকে বড় একটা ছুটি পাচ্ছে বরিশাল। চারদিনের বিরতির পর আগামী ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চিটাগংয়ের মুখোমুখি হবে দলটি। 



শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: