মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য মৃৎশিল্প কালের আবর্তনে, উন্নত প্রশিক্ষন না থাকা, উৎপাদিত পণ্যে নিত্য-নতুন কারুকার্য সংযোজন করতে না পারায় হারিয়ে যেতে বসেছে। উপজেলার কামাল্লা, মাজুর, ঘোড়াশাল ও শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থান এ শিল্পের। এক সময় মৃিশল্পের তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে মানুষ গর্ব করতো। প্রতিটি ঘরে ঘরে শোভা পেত মৃৎশিল্পীদের তৈরি হাঁড়ি, পাতিল, বাসন, কলসীসহ নক্শী করা নানা রকমের জিনিসপত্র। ডিজিটাল যুগে স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা আগের সময়ের নকশা নিয়েই পড়ে থাকায়, প্লাষ্টিক ও এ্যালমুনিয়ামের তৈরি জিনিস পত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেনা।
মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কুমার পাড়া ঘুড়ে ও মৃৎশিল্পিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ গ্রামের মৃৎশিল্পিদের পরিবারের সবাই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও স্বচ্ছলতার মুখ না দেখায়, । এ শিল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখে তাদের নতুন প্রজন্মে বাব-দাদার প্রচিনতম পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। শতাধিক পরিবারের মধ্যে মাত্র ২৫/৩০ টি পরিবার এখনো বাপ-দাদার আদি পেশার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ঐ সব পরিবারদের এখন নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। অনেকেই পেশা বাদ দিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।কিন্তু মাটির তৈরি জিনিসপত্রের তেমন চাহিদা না থাকা, নিত্য-নতুন নজরকড়া নকশা সংযোজন করতে না পারা ও উন্নত প্রশিক্ষনের অভাবে এ শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে বলে জানান মৃৎশিল্পিরা। এ পেশায় থাকা শিল্পিরা সরকারের তরপ থেকে উন্নত প্রশিক্ষন, ব্যাংক লোন ও গ্যাস সরবারাহের ব্যাবস্থা করলে তারা আবহমান বাংলার ঐতিহ্য এ শিল্পকে ধরে রাখতে পারবেন বলে জানান।
0 facebook: