23 October 2015

ভাগ্যের কাছে অসহায় তারপরও ব্যালান্স টিম কুমিল্লার (ভিডিও)


বিশেষ প্রতিবেদনঃ ভাগ্য যেন সহায় হচ্ছিল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ বা লটারিতে খেলোয়াড় নির্বাচনের জন্য ছয়টি দলের মধ্যে কুমিল্লা বারবার সুযোগ পাচ্ছিল ৪ বা ৫ নম্বরে। ফলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে দেশের নামিদামি পছন্দের খেলোয়াড় হাতছাড়া হয়ে যায় কুমিল্লার। তারপরও ‘এ’ ক্যাটাগরির তিনজন খেলোয়াড় নিজেদের দলে ভিড়াতে পেরেছে বিপিএলে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নেয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর লটারিতে বারবার পিছিয়ে গেলেও ৬ জন আইকন খেলোয়াড়ের লটারিতে ২ নম্বরে ডাকার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজাকে দলে নিয়ে অনেকটা হাসি নিয়েই ঘরে ফিরেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান নাফিসা কামাল, কোচ সালাউদ্দিন, ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। যদিও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপটা থেকেই গেছে।
বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’। ৬ জনের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টিমে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান নাফিসা কামাল।
লটারি শুরু হয় প্রথমে দেশীয় খেলোয়াড় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এতে ৬ দলের মধ্যে লটারিতে ৫ নাম্বারে খেলোয়াড় সিলেক্টের সুযোগ পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম সুযোগে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তিন নম্বরে থাকা উইকেট রক্ষক ও ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসকে দলে নেয় কুমিল্লা। পরের বারও লটারিতে পিছিয়ে থেকে দলে টেনে নেয় ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও শুভাগতহোম চৌধুরীকে। তারপরই আসে বিদেশী খেলোয়াড়ের লটারি। সেখানেও পিছিয়ে থেকে ইংল্যান্ডের অল রাউন্ডার ড্যারেন স্টিফেন্সকে নিয়ে নেয় কুমিল্লা। এরপর লটারিতে এগিয়ে কুমিল্লা বেছে নেয় ‘বি’ ক্যাটাগরির বা হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বীকে। এরপর বিদেশী ক্যাটাগরিতে বেছে নেয় শ্রীলংকার বোলার নুয়ান কুলাসেকারাকে। বেছে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অল রাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে।
এ ছাড়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ, অল রাউন্ডার মাহমুদুল হাসান লিমন ও আরিফুল হককে দলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বিডি নিউজ বার্তা সংস্থার মতে, দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কুমিল্লার বিদেশি খেলোয়াড়দের সংগ্রহ দারুণ সমৃদ্ধ। টপ অর্ডারে আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে আছেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। মিডল অর্ডারে শ্রীলঙ্কার লাহিরু থিরিমান্নের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। আছেন দেশের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ।
দলটির উল্লেখযোগ্য দিক স্পিনিং অলরাউন্ডার। শোয়েব মালিকের সঙ্গে আছেন আরও দুই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মাহমুদুল হাসান ও শুভাগত হোম। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছেন গ্ল্যাডিয়েটর্সে মাশরাফির সতীর্থ ড্যারেন স্টিভেন্স ও দেশের আরিফুল হক। আন্দ্রে রাসেলকে পাওয়া যাবে হয়ত স্রেফ কয়েকটি ম্যাচ। তবে এই ম্যাচগুলোর ভাগ্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডারের।
স্পিনে টি-টোয়েন্টির অন্যতম বড় নামকে দলে ভেড়াতে পেরেছে তারা, সুনিল নারাইন! সঙ্গে দুই বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র।
পেস আক্রমণে খুব বড় নাম নেই। তবে মাশরাফির সঙ্গে নুয়ান কুলাসেকেরা ও ক্রিশমার সান্টোকি এই কন্ডিশনে হতে পারেন দারুণ কার্যকরী। গতির প্রয়োজনে আছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি।
প্রায় আড়াই বছর বিরতির পর আবারো মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হবে জমজমাট এ আসরটি। এর আগে ২০ নভেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টটির। ছয় দলের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টির এই আসর। এবারের আসরে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ঢাকা ডাইনামাইটস, বরিশাল বুলস, চট্টগ্রাম ভাইকিংস, সিলেট সুপার স্টার, রংপুর রাইডার্স।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের খেলোয়ার তালিকাঃ

বাংলাদেশীঃ
১। মাশরাফি বিন মর্তুজা
২। লিটন কুমার দাস
৩। ইমরুল কায়েস
৪। শুভাগত হোম
৫। সানজাম উল ইসলাম
৬। কামরুল ইসলাম রাব্বি
৭। আরিফুল হক
৮। মাহমুদ হাসান লিমন
৯। আবু হায়দার রনি
১০। নাঈম ইসলাম জুনিয়র
১১। ধীমান ঘোষ
১২। আলোক কাপালি

বিদেশীঃ
১। আহমেদ শেহজাদ
২। শোয়েব মালিক
৩। সুনিল নারিন
৪। মারলন স্যামুয়েলস
৫। ড্যারেন স্টিভেন্স
৬। নুয়ান কুলাসেকেরা
৭। আন্দ্রে রাসেল
৮। লাহিরু থিরামান্নে
৯। ক্রিশমার সান্টোকি

ভিডিওটি দেখুনঃ

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: