18 September 2015

বিপিএল এর আলোচিত ও সমালোচিত দল "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস"!


সৈয়দ মোঃ ইব্রাহীম খলিলঃ আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) সবচাইতে আলোচিত ও সমালোচিত দল বলা চলে "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস"কে। গত দুই আসরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) অংশ নেওয়া দলগুলো ছিল বিভাগীয় নামে কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে আসরে জায়গা করে নিল "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস" সমালোচিত বলছি কারণ অনেকে বলছে খুলনা, রাজশাহী বিভাগ হয়েও দল পেল না অথচ কুমিল্লা সামান্য জেলা হয়ে দল পেল! দোষারোপ করছে বিসিবি কে। এক্ষেত্রে বিসিবির কিছুই করার ছিল না কারণ খুলনা রাজশাহীর নামে দল কিনতে কেউ রাজী হয় নি বা শর্ত পূরণ করতে পারে নি। বিসিবি বলছে, বিপিএল সিটি কর্পোরেশন ভিত্তিক করা হবে এবং ১০ দলে উন্নিত করা হবে। 
প্রিমিয়াম লিগে লিজেন্ডস অফ রুপগঞ্জের নাম আশা করি সবাই শুনেছেন সেটি তো একটি জেলাও না তাহলে দল পেল কিভাবে? তাছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল লীগে ফেনী সকার ক্লাব, মৌলভীবাজার ওয়ান্ডারস ক্লাব খেলছে অনেকদিন যাবত। তাছাড়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে কয়েক হাজার জনসংখার ছোট শহর যেমন কারডিফ সিটি খেলছে। অনেক সময় একই শহরের নামে একাধিক দলও হয় যেমন ম্যান ইউ-ম্যান সিটি, রিয়েল মাদ্রিদ-এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। যেখানে অনেক বড় শহরের নামে কোন ক্লাবই নাই। পৃথিবীর কোথাও ফ্রাঞ্চাইসি ভিত্তিক টুর্নামেন্টে এমন কোন নিয়ম নেই যে বোর্ড দলের নাম ঠিক করে দিবে। আইপিএলের দিকে তাকালে দেখতে পাই শাহারুখ খান মুম্বাইয়ের মানুষ। মুম্বাই এর নামে আরও একজন আগেই টিম কিনে নিয়েছে তাই সে কলকাতার নামে টিম নিল। আর খুলনা রাজশাহীর ফ্রাঞ্চাইসি কেউ কিনতে রাজী হয় নি বা শর্ত পূরণ করতে পারে নি, তো বিসিবি কি করবে? 
ধরুন কামাল সাহেবকে বিসিবি বলল আপনি খুলনার নামে দল কিনেন তখন যদি কামাল সাহেব দল কিনতে রাজি না হত তখন বিপিএল হত ৫ দলের সেটা দেখতে আরও খারাপ লাগত। সবচাইতে বড় কথা বিপিএলে ৭টি বিভাগই রাখতে হবে, এমন কোন গঠনতন্ত্র নেই। ৭টি বিভাগের নাম রেখেই নামগুলো চুড়ান্ত করতে হবে, এমন কোন নিয়মও নেই। তাই যে প্রতিষ্ঠান দল কিনবে, তারাই নিজেদের মত করে নাম দিতে পারে। সবশেষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দলের জন্য রইল শুভকামনা। 


শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।