যেখানে বিপিএলের দল
চালাতে নতুন করে আগ্রহ দেখিয়েছিল নতুন-
পুরনো মিলে মোট ১৩ প্রতিষ্ঠান। সেখানে দল
চালাতে আগ্রহী মাত্র ৫ প্রতিষ্ঠান! সিলেট
রয়্যালস, রংপুর রাইডার্স, দুলাল ব্রাদার্স-ডিবিএল,
এক্সিওম টেকনোলজি ও বেক্সিমকো দল
চালাতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
এছাড়া কুমিল্লার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে রয়্যাল
স্পোর্টিং লিমিটেড।
দল চালাতে হলে রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ১
কোটি টাকা পে-অর্ডার ও সাড়ে ৪ কোটি ব্যাংক
ড্রাফট দিতে হবে। এ শর্ত ছিল। সেই শর্ত পূরণ
করেছে ৫ প্রতিষ্ঠান। পুরনোদের মধ্যে
শনিবারই সিলেট রয়্যালসের মালিক নাফিসা কামাল সাড়ে
৫ কোটি টাকা দেয়ার শর্ত পূরণ করেছেন।
একইদিনে নতুনদের মধ্যে দুলাল ব্রাদার্স ও
এক্সিওম টেকনোলজিও শর্ত পূরণ করেছে।
রবিবার দুটি প্রতিষ্ঠান বিপিএলে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ
করেছে। পুরনোদের মধ্যে রংপুর রাইডার্স ও
নতুনদের মধ্যে বেক্সিমকো দল নেয়ার
আগ্রহ দেখিয়েছে। শর্তও পূরণ করেছে।
হতাশাজনক অবস্থাই হয়েছে। দল নিতে আগ্রহের
কমতি ছিল না। অথচ যখন শর্ত পূরণ করার বিষয় আসল,
তখন আর দল নিতে আগ্রহ দেখা গেল না।
ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার কমতিই দেখা যাচ্ছে
তাহলে? পুরনোদের মধ্যে সিলেট রয়্যালস,
রংপুর রাইডার্স ও নতুনদের মধ্যে ১১ প্রতিষ্ঠান
বেক্সিমকো, মিডিয়াকম (স্কয়ার), সোহানা গ্রুপ অব
কোম্পানি, ইনডেক্স গ্রুপ, এক্সিওম
টেকনোলজি লিমিটেড, দুলাল ব্রাদার্স-ডিবিএল গ্রুপ,
বিবিএস কেবলস, বেঙ্গল কমিউনিকেশন, ব্লুজ
কমিউনিকেশন, নেট ওয়ার্ল্ড বিডি লিমিটেড ও ফাইবার
এড হোম লিমিটেড আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু
দল নিতে ৫ প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ করল। এরপর
প্রশ্নও উঠে গেল, যারা দল চালাতে শেষপর্যন্ত
আগ্রহী নয়, তাহলে কী তারা নিজেদের
প্রতিষ্ঠানের নাম ফুটাতেই বিপিএলের সঙ্গে যুক্ত
হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিল। যখন আসল সময় আসল
লেজ গুটিয়ে নিল।
বিপিএলের প্রথম আসরে ৬ দল খেলেছে। ঢাকা
গ্ল্যাডিয়েটর্স, চিটাগং কিংস, বরিশাল বার্নার্স, দুরন্ত
রাজশাহী, সিলেট রয়্যালস ও খুলনা রয়েল
বেঙ্গলস। দ্বিতীয় আসরে ১ দল বেড়েছে,
রংপুর রাইডার্স। হয়েছে ৭ দলের লীগ। মাঝখানে
ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে তুলকালাম হয় বিপিএলে। দুই বছর
লীগ বন্ধ থাকে। এবার যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট
বোর্ড (বিসিবি) আবারও নতুন করে বিপিএল
আয়োজন করতে ব্যস্ত, তখন ক্রিকেটের প্রতি
আগ্রহী সংখ্যা কমে গেছে। তাতে বোঝা
যাচ্ছে, ৫ দল নিয়েই বিপিএল হতে পারে
শেষপর্যন্ত।
এমন পরিস্থিতিতে, এত কম আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের
সংখ্যায় হতাশ সবাই। অথচ বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন
চৌধুরী সুজন হতাশ নন। বলেছেন, ‘আমি হতাশ বলব
না। আমি আবারও বলছি, আমাদের টার্গেট ছিল ৭,
সেখানে ৫ এসেছে। যেহেতু এখনও সময়
আছে, আমরা আরও দেখব, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
শর্ত পূরণের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও
আশায় আছেন সিইও। তাতেই বোঝা যাচ্ছে,
সামনে আলোচনার ভিত্তিতে দলের সংখ্যা
বাড়তেও পারে। সিইও সেই ইঙ্গিতই দিলেন,
‘আপনারা জানেন যে, আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট
বোর্ডের বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে বেশ
কয়েকটা কোম্পানি বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ার
জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল। পাঁচ কোম্পানির নিয়শ্চতা
পেয়েছি। বেশ কয়েকটা কোম্পানি আমাদের
সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ডিবিএল গ্রুপ, ঢাকা
ডিনামাইটস (বেক্সিমকো), এক্সিওম
টেকনোলজিস, আই স্পোর্টস লিমিটেড (রংপুর),
রয়্যাল স্পোর্টিং লিমিটেড (সিলেট)। সিলেট, তারা
কুমিল্লার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।’
শর্ত পূরণের তারিখ শেষ। আলোচনার কোন
সুযোগ আছে প্রশ্ন উঠতেই, সুজন জানালেন,
‘আরও আগ্রহী কোম্পানি আমাদের সঙ্গে
আছে। এটা অবশ্যই বোর্ড ও বিপিএল গবর্নিং
কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে হবে। গ্রহণ করবে কি,
করবে না।’ এরপর প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষেই কথা
বললেন সিইও, ‘আসলে পুরো ফিনান্সিয়াল মডিউলটা
ও টুর্নামেন্টের বিষয়টা হয়তো তারা বুঝার চেষ্টা
করছে। সে জন্য হয়তো সময় নিচ্ছে।
ইতোমধ্যে যারা আবেদন করেছে, তারা বিষয়টা
জেনেই আবেদন করেছে। আমার মনে হয়
আরও কাজ করছে।’
31 August 2015
Author: নতুন প্রজন্ম কুমিল্লা
কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।
আরো দেখুনঃ
- Blog Comments
- Facebook Comments