কুমিল্লা সিটি
করপোরেশনের ৪৮২ কিলোমিটার সড়কের ৬০
ভাগ চলাচলের অনুপযোগী। সড়কগুলোতে
ছোট-বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় নগরবাসী
যাতায়াতে চরম দুর্ভােগ পোহাচ্ছেন।
ড্রেনেজ সমস্যার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই
সড়কে পানি জমে পুকরে পরিণত হচ্ছে।
কোথাও পাকা রাস্তা-কাঁচা রাস্তায়
পরিণত হয়েছে। গাড়ি চলে নৌকার মতো
হেলে-দুলে। এ নিয়ে জনসাধারণের মাঝে
ক্ষোভ বাড়ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কান্দিরপাড়
পূবালী চত্বর থেকে ধর্মপুর পর্যন্ত সড়কের
নজরুল এভিনিউ, রানীরবাজার পর্যন্ত
সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটি নালা-নর্দমায়
পরিণত হয়। এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
কান্দিরপাড়-পুলিশ লাইন সড়কের বাদুরতলা,
ফয়জুন্নেছা স্কুলের পাশে, ঝাউতলা
এলাকায় ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। ডিসি
অফিসের দক্ষিণ পাশ থেকে কালিয়াজুরি
পিটিআই স্কুল পর্যন্ত সড়কটির সর্বত্রই
খানাখন্দে ভরা। কুমিল্লা ফৌজদারি
থেকে আদালত হয়ে বিষ্ণুপুর সড়ক, পুরাতন
চৌধুরীপাড়া থেকে কাপ্তান বাজার,
পুলিশ লাইন থেকে বাাগিচাগাঁও সড়কের
অবস্থাও বেহাল।
সিটি করপোরেশনের বাইরের শহরসংলগ্ন
সড়কগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। বিশেষ করে
স্টেশন রোড, ধর্মপুর থেকে সাতরা, ধর্মপুর
থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড হয়ে
দৌলতপুর, ধর্মপুর থেকে শাসনগাছা সড়ক
এতিম অবস্থায় রয়েছে। এসব সড়কে পায়ে
হাঁটাও কষ্টকর। একই অবস্থা শাসনগাছা
থেকে আড়াইওরা সড়কের। সচেতন নাগরিক
কমিটি কুমিল্লার সভাপতি আলী আকবর
মাসুম বলেন, নগরীর অধিকাংশ সড়কের
অবস্থা খারাপ। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা
প্রয়োজন।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী
শেখ মো. নূরুল্লাহ বলেন, নগরের ২৭টি
ওয়ার্ডের ৪৮২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে।
তার মধ্যে পাকা ১৯৭ কিলোমিটার।
ইতিমধ্যে ১১৬টি সড়ক সংস্কারের জন্য
দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বর্ষা শেষে
সড়কগুলোর সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন,
নগরীর সড়কগুলো সংস্কারে শত কোটি
টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বৃষ্টির
কারণে ঠিকাদারদের কাজ শুরু করতে সমস্যা
হচ্ছে। সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
01 September 2015
Author: নতুন প্রজন্ম কুমিল্লা
কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।
আরো দেখুনঃ
- Blog Comments
- Facebook Comments