09 March 2016

কুমিল্লায় ‘চিড়িয়া’ ছাড়াই চিড়িয়াখানা!


বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা নগরীতে অবসর সময় কাটানোর কোথাও কিছু নেই। এক সময়ের ব্যাংক, ট্যাংকের শহর এখন বিল্ডিংয়ের বস্তি। দম ফেলার এতটুকু খালি জায়গা নেই।
সিটি করপোরেশনের কুমিল্লা নগর উদ্যান এবং জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে চিড়িয়াখানা থাকলেও সেগুলো ‘উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট’ অবস্থা। কুমিল্লার ছোটরায় অবস্থিত চিড়িয়াখানাটির দৈন্যদশা দীর্ঘদিনের।
কুমিল্লায় চিড়িয়াখানার নতুন সংজ্ঞা দাঁড়িয়েছে— চিড়িয়া (প্রাণী) ছাড়াই চিড়িয়াখানা! মানুষ টিকিট কেটে একটি মাঠ আর কিছু গাছ দেখে ফিরে আসে।
নগরীতে ধর্মসাগর নামের দীঘির পাড়ে কিছু সময় কাটানো যায়। তার পাশে অবস্থিত নগর উদ্যানে শিশুদের জন্য কিছু রাইড স্থাপন করা হয়েছিল। সেগুলো ভেঙে আছে দীর্ঘদিন ধরে। স্লিপারের পাটাতন নেই। দোলনার শুধু স্ট্যান্ডগুলো আছে।
এদিকে নগরীতে খেলাধুলার তেমন মাঠ নেই। ঈদগাহ এখন কিশোর-তরুণদের একমাত্র খেলার মাঠ। সেখানে সিমেন্ট ঢালাইয়ের ওপরে  দিনভর ২০-২২টি গ্রুপ ক্রিকেট ও ফুটবল খেলে। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক আহ্বায়ক বদরুল হুদা জেনু বলেন, নগরীতে বিনোদনের স্থানের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। কুমিল্লা রানীর কুটিকে নগর জাদুঘর করা যেতে পারে।
এ ছাড়া নগর উদ্যান এবং চিড়িয়াখানাটি সংস্কার করে শিশুদের বিনোদনের ক্ষেত্র উন্মুক্ত করা যায়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আহমেদ শোয়েব সোহেল বলেন, নগরীতে বিনোদনের স্থানের অভাব রয়েছে এটি সত্য। এ নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: