04 April 2017

নাঙ্গলকোটে ইতিহাসের সাক্ষী বাল্লেগ শাহ ফকির মসজিদ


জেলায় নাঙ্গলকোটের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আছে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের দাঁড়াচো গ্রামের তিন গম্বুজ বিশিষ্ট খন্দকার বাল্লেগ শাহ ফকির জামে মসজিদ। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীতে খোন্দকার বাল্লেগ শাহ ফকির সুদূর ইরাক থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে এসে মসজিদটি নির্মাণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কালক্রমে মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মসজিদটিতে শ্যাওলা জমে বিবর্ণ হয়ে গেছে। মসজিদের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় পরগাছা জন্মেছে। মসজিদের ভেতরে অনেক কারুকাজ খচিত ছিল। কালক্রমে এগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মসজিদে প্রায় ৩০ জন মুসল্লির নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন থেকে মসজিদটি সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করে রাখেন। কিন্তু বর্তমানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় গত তিন বছর পূর্বে এলাকাবাসী পাশে আরেকটি নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। ফলে বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে মসজিদটি তালা বন্ধ অবস্থায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
দাঁড়াচো গ্রামের শিক্ষানুরাগী প্রবীণ ব্যক্তি মাস্টার আবদুল আউয়াল খন্দকার বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শুনেছি, অনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীতে বাল্লেগ শাহ ফকির আল বাগদাদী ইরাক থেকে ধর্ম প্রচারের জন্য আসেন। পরে তিনি এখানে ইট-সুরকি দিয়ে কারুকাজ খচিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করেন। সরকারিভাবে তিনি মসজিদটি সংস্কার করে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: