02 April 2017

কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু


কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা শুরু হয়েছে রবিবার সকাল ১০টায়। এবার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৮শ’ ৯৩ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৬টি জেলায় (কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর) ২শ’ ৯৫টি সরকারী ও বেসরকারী কলেজের ১শ’ ৪৬টি কেন্দ্রে ৭৮ হাজার ৮শ’ ৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৭’শ ৬৪ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী।  এছাড়া মোট পরীক্ষার্থীর ৩৯ হাজার ৪শ’ ১১ জন ছাত্র, ৩৯ হাজার ৪শ’ ৮২ জন ছাত্রী রয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগে ১১ হাজার ২’শ ৪ জন, মানবিক বিভাগে ২৭ হাজার ৯’শ ২২ জন এবং ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ৩৯ হাজার ৭’শ৬৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। কুমিল্লা ১৬টি উপজেলায় ৯৪টি কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৩১৪ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
প্রথম দিন সকালে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথমপত্র, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের (ডিআইবিএস) পরীক্ষা হচ্ছে। আলিমে কুরআন মাজিদের পরীক্ষা হচ্ছে। কারিগরিতে সকালে বাংলা-২ (১১২১) বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে ও বিকেলে বাংলা-১ (১১১১) বিষয়ের পরীক্ষা হবে।

SSC, HSC and Other Exam Result Archive


পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বিকেলের পরীক্ষা হবে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ মে।
এবার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছে। প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হচ্ছে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোন বিরতি নেই।
এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাচ্ছে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে।
সুত্রঃ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: