12 April 2017

কুমিল্লায় পত্রিকার হকারকে কুপিয়ে হত্যা



কুমিল্লায় পত্রিকার হকার মো: ফারুক মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ঘটনাটি ঘটে পালপাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে ভুইয়ার বাড়ীর রাস্তার মাথায় । স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ১০টায় এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ১ জোড়া জুতা ও ব্যাংক রশিদ উদ্ধার । 
ঘটনাস্থলের আশে পাশের ব্যক্তি ও নিহতের বাড়ীর লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত ফারুক মিয়া আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর জামবাড়ি এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। প্রতিদিনের মতো ভোরে বাড়ি থেকে পত্রিকা বিলি করার জন্য সে ভোর ৪.৩০ টায় বের হয়। তার সাথে ২লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ছিল। গত সোমবার দিবাগত রাতে সমিতির টাকা ব্যাংকে জমা করার জন্য টাকা গুলো নিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে সমিতি বা বাড়ীর আশে পাশের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে। তবে কিছুদিন পূর্বে ও তার মোবাইল রেখে দিয়েছিল পালপাড়া ব্রিজ এলাকার কিছু বখাটে। পরবর্তীতে ব্যাপারটি বিভিন্নভাবে সমঝোতা হয় এবং মোবাইল ফেরত দেয়। ঐ ঘটনার পর থেকে গোমতী নদীর পাড় দিয়ে কিছুদিন হয় সে আসা যাওয়া না করে বাড়ীর ভেতর দিয়ে পালপাড়া ব্রিজের নিকট এসে গোমতির পাড় উঠতো। ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে ধারণা করছেন অনেকে। ঐ পরিবারে ফারুক সহ আরো এক ভাই ও এক বোন রয়েছে। ভাইটি মানুষিক ভারসাম্যহীন, মা অনেক আগেই মারা গিয়েছে বাবা ও অসুস্থ্য দীর্ঘদিন ধরে। পরিবারটি একমাত্র ফারুকের উপর নির্ভরশীল ছিল। দেড় বছর হয় বিয়ে করেছিলেন বুড়িচং উপজেলার পাহারপুর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে তাসলিমা আক্তারকে। চার মাসের একটি ফুটফুটে কণ্যা সন্তান রয়েছে। 
ফারুকের চাচা আজাদ মিয়া জানান, ৬টার দিকে ফারুকের মোবাইল থেকে এক ড্রাইভার ফোন দিয়ে বলে ভাই আপনার ভাতিজাকে কে বা কাহারা মেরে ফেলেছে পালপাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে রাস্তার পাশে মৃত দেহটি পড়ে রয়েছে। পরে স্বজনরা সেখানে ছুটে যায় এবং মৃত দেহ দেখতে পায়। 
ছত্রখিল ফাড়ির ইনচার্জ মো: শাহীন কাদির জানান, নিহত ফারুকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: