হাসনাত মোবারকঃ কান্দি শব্দটি ব্যবহৃত হয় নদীর পাড় বোঝাতে। কান্দি শব্দটি মূলত আঞ্চলিক শব্দ। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিটি শহরই গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। প্রাচীনকালে নৌপথই ছিল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। তাই আঁকাবাঁকা গোমতী নদীর তীরে গড়ে উঠেছে কুমিল্লা শহর।
ইতিহাসখ্যাত কুমিল্লা শহরের এখনকার সময়ের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়। কুমিল্লার কান্দিরপাড়ের টাউন হল নামে সমধিক পরিচিত যে স্থানটি তার আক্ষরিক নাম বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন, কুমিল্লা।
শতাব্দীরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারটি জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে চলছে নিরবধি। এই শতাব্দী অতিক্রান্ত গণপাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে সমুজ্জ্বল ও বিশদ ইতিহাস। তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজার জমিদারি ছিল কুমিল্লাতে।
এই বীরচন্দ্র গণপাঠাগারটিতে তখন মহারাজার কাছারি বাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মহারাজার নায়েব-গোমস্তারা এই কাছারি বাড়িতে থাকত। ত্রিপুরার মহারাজ দানবীর শ্রী বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুরের মহানুভবতায় কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১০ বিঘা ৫ কাঠা ১৪ ছটাক ভূমি প্রদান করেন বার্ষিক মাত্র এক আনা খাজনায়।
১৮৮৫ সালের ৬ মে তৎকালীন ত্রিপুরা, বর্তমান কুমিল্লার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. এফএইচ স্ক্রাইনের উদ্যোগ এবং তার সৃজনশীল প্রয়াসে ত্রিপুরার মহারাজ পাঠাগারের জন্য এই ভূমি বরাদ্দ করে দেন। তাই মহারাজের নাম অনুযায়ী পাঠাগারটির নামকরণ করা হয়। তৎপরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতায় তিল তিল করে সমৃদ্ধতা অর্জন করেছে এই পাঠাগারটি।
কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বীরচন্দ্র গণপাঠাগার তথা টাউন হল এক অত্যুজ্জ্বল নাম। এক সময়ে এই পাঠাগারের সামনে শহীদ মিনার গড়ে উঠেছে। শহীদ মিনারের পাশে মুক্তমঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। একটি মিলনায়তনও রয়েছে, যা নগর মিলনায়তন নামে পরিচিত।
দ্বিতলবিশিষ্ট ভবনের মূল ফটকের ফ্লোরে সারি সারি টেবিলের উপর দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলো সাজানো রয়েছে। পাঠকের জন্য পত্রিকা পাঠের সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ভবনের সিঁড়ি বেয়ে দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তাকে তাকে সাজানো রয়েছে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রকাশিত সৃজনশীল গবেষণালব্ধ অজস্র বই। এই পাঠাগারটিতে পাঠকের বসে বই পড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধু সদস্যরাই বই বাড়িতে নিয়ে পড়তে পারবে। তবে গবেষণার জন্য পাঠাগারের আলাদা কক্ষে বই পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।
বীরচন্দ্র গণপাঠাগারের সহ-সভাপতি হাবিব উল্যা চৌধুরী। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সদস্যরা বই বাড়িতে নিয়ে ফেরত না দেয়ায় বই বাড়িতে দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে যথেষ্ট জনবল হলে তারা তা আবার পাঠকের পড়ার জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন।
কুমিল্লার বর্তমান জেলা প্রশাসক একজন সংস্কৃতজন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন পাঠাগারের সব পুরনো বই বাঁধাই করে পাঠকের পাঠোপযোগী করে দেবেন।
কথার ফাঁকে হাবিব উল্যা চৌধুরী বলেন, এই পাঠাগারে অসংখ্য দুর্লভ বই আছে। সে বইগুলো বাঁধাই করলে পাঠক অনেক উপকৃত হবে। আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতির সংরক্ষণাগার এই পাঠাগারটিতে সবার পাঠের ব্যবস্থা হবে।
এটিকে আরো আলোকিত কিভাবে করা যায় এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একটু ভাবলে অনেক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
শতাব্দীরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত এই পাঠাগারটি জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে চলছে নিরবধি। এই শতাব্দী অতিক্রান্ত গণপাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে সমুজ্জ্বল ও বিশদ ইতিহাস। তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজার জমিদারি ছিল কুমিল্লাতে।
এই বীরচন্দ্র গণপাঠাগারটিতে তখন মহারাজার কাছারি বাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মহারাজার নায়েব-গোমস্তারা এই কাছারি বাড়িতে থাকত। ত্রিপুরার মহারাজ দানবীর শ্রী বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুরের মহানুভবতায় কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১০ বিঘা ৫ কাঠা ১৪ ছটাক ভূমি প্রদান করেন বার্ষিক মাত্র এক আনা খাজনায়।
১৮৮৫ সালের ৬ মে তৎকালীন ত্রিপুরা, বর্তমান কুমিল্লার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মি. এফএইচ স্ক্রাইনের উদ্যোগ এবং তার সৃজনশীল প্রয়াসে ত্রিপুরার মহারাজ পাঠাগারের জন্য এই ভূমি বরাদ্দ করে দেন। তাই মহারাজের নাম অনুযায়ী পাঠাগারটির নামকরণ করা হয়। তৎপরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতায় তিল তিল করে সমৃদ্ধতা অর্জন করেছে এই পাঠাগারটি।
কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বীরচন্দ্র গণপাঠাগার তথা টাউন হল এক অত্যুজ্জ্বল নাম। এক সময়ে এই পাঠাগারের সামনে শহীদ মিনার গড়ে উঠেছে। শহীদ মিনারের পাশে মুক্তমঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। একটি মিলনায়তনও রয়েছে, যা নগর মিলনায়তন নামে পরিচিত।
দ্বিতলবিশিষ্ট ভবনের মূল ফটকের ফ্লোরে সারি সারি টেবিলের উপর দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলো সাজানো রয়েছে। পাঠকের জন্য পত্রিকা পাঠের সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ভবনের সিঁড়ি বেয়ে দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তাকে তাকে সাজানো রয়েছে প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রকাশিত সৃজনশীল গবেষণালব্ধ অজস্র বই। এই পাঠাগারটিতে পাঠকের বসে বই পড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। শুধু সদস্যরাই বই বাড়িতে নিয়ে পড়তে পারবে। তবে গবেষণার জন্য পাঠাগারের আলাদা কক্ষে বই পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।
বীরচন্দ্র গণপাঠাগারের সহ-সভাপতি হাবিব উল্যা চৌধুরী। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সদস্যরা বই বাড়িতে নিয়ে ফেরত না দেয়ায় বই বাড়িতে দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে যথেষ্ট জনবল হলে তারা তা আবার পাঠকের পড়ার জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন।
কুমিল্লার বর্তমান জেলা প্রশাসক একজন সংস্কৃতজন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন পাঠাগারের সব পুরনো বই বাঁধাই করে পাঠকের পাঠোপযোগী করে দেবেন।
কথার ফাঁকে হাবিব উল্যা চৌধুরী বলেন, এই পাঠাগারে অসংখ্য দুর্লভ বই আছে। সে বইগুলো বাঁধাই করলে পাঠক অনেক উপকৃত হবে। আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতির সংরক্ষণাগার এই পাঠাগারটিতে সবার পাঠের ব্যবস্থা হবে।
এটিকে আরো আলোকিত কিভাবে করা যায় এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একটু ভাবলে অনেক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।