11 August 2016

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটু পানি


কুমিল্লা রিপোর্ট২৪ ডেস্কঃ কুমিল্লা আন্তঃজেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি খানা-খন্দের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা, দুর্গন্ধ, আর ছোট-বড় গর্তে সামান্য বৃষ্টিতে জমা হয় হাঁটু পানি। এছাড়াও সব সময় এতে নালা-নর্মদার ময়লা ও দূষিত পানি থাকে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে মানুষকে।
টার্মিনালের সংস্কারসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্টরা দাবি জানিয়ে আসলেও অসহনীয় এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট ওই টার্মিনাল থেকে ২০টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আন্দোলন শুরু হয়। এতে সিটি কর্তৃপক্ষ সহসা এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত রাখে।  
মহানগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় কুমিল্লা আন্তঃজেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট ছাড়াও জেলার পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলের সবকটি উপজেলার জনগণ ২০টি রুটে বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার ও আঞ্চলিক যানবাহনের মাধ্যমে যাতায়াত করে। ২০১১ সালে নির্মাণ করা টার্মিনালটি। দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। এ বাস টার্মিনালের ভেতরে বাস পার্কিংয়ের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এছাড়া এখানে দিন-দিন বেড়ে চলছে যাত্রী দুর্ভোগসহ ছিনতাই ও চাঁদাবাজদের উত্পীড়ন। টার্মিনালে প্রবেশের রাস্তায় রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত ও খানা-খন্দ। এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
কুমিল্লা জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, বাস টার্মিনালটি সংস্কার না হওয়ায় ক্রমেই জলাশয়ের মতো হয়ে গেছে। এ দুর্ভোগ নিরসনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছি। আশা করছি জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত এর সংস্কার করা হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু জানান, নগরীর জাঙ্গালিয়াস্থ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে ভবন নির্মাণ, রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ ও ঢালাইয়ের জন্য ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্র আহবান করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: