কুমিল্লা রিপোর্ট২৪ ডেস্কঃ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঈদের আগের দিন থেকে কৌশলে আগাম প্রচারণায় নেমেছেন মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে শোভা পাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাদের পোস্টার।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আফতাব উল ইসলাম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আরফানুল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাসুদ পারভেজ খান এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম।
গত শনিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে নগরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাঁটিয়েছেন আরফানুল, মাসুদ পারভেজ, নূর উর রহমান মাহমুদ। তবে আফতাব উল ইসলামের কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। ঈদের আগের দিন থেকে সাঁটোনো এসব পোস্টারে এলাকাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
নগরের কান্দিরপাড় এলাকার একাধিক প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে আরফানুল, নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম ও মাসুদ পারভেজের পোস্টার। আরফানুলের পোস্টারে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিনের ছবি রয়েছে। মাসুদ পারভেজের পোস্টারে তাঁর বাবা আফজাল খান এবং রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ও পরিকল্পনামন্ত্রীর ছবি রয়েছে। আরফানুল সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিনের অনুসারী। আর মাসুদ পারভেজ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আফজল খানের বড় ছেলে। নূর উর রহমান মাহমুদের পোস্টারে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছবি রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাসুদ পারভেজ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে হেরে যান। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বর্তমান পরিষদের মেয়াদ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে।
জানতে চাইলে মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার মানুষ আমাকে বিপুলসংখ্যক ভোট দিয়েছিলেন। তাঁদের ভালোবাসার কারণে আমাদের পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দল থেকে সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আমি মনোনয়ন চাইব। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে নির্বাচন করব।’
আরফানুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। নির্বাচন করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব।’ নূর উর রহমান মাহমুদ বলেন, ‘দল নিশ্চয়ই মাঠপর্যায়ে জরিপ করে মনোনয়ন দেবে। দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। আগামী দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য দল আমাকে বিমুখ করবে না।’ আফতাব উল ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়ন চাইব। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেব।’
কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন কে পাবেন, সেটা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাঁর জন্য কাজ করব।’
0 facebook: