06 July 2016

পরিবারের সবার জন্য তনুই ঈদের কেনা-কাটা করত


বিশেষ প্রতিনিধি: দুই দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। সর্বত্র চলছে কেনা-কাটার ধুম। তবে ঈদের আমেজ নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী নিহত সোহাগী জাহান তনুর পরিবারে। প্রত্যেকবার তনুর পরিবার সেনানিবাসের বাসায় ঈদ পালন করলেও এবার তারা চলে যাবেন গ্রামের বাড়িতে।
সোমবার সন্ধ্যায় তনুর মা আনোয়ারা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘রোজা কিভাবে থাকছি, কী রান্না করছি, কী খাচ্ছি বলতে পারব না। ওঠতে বসতে শুধু তনুর কথা মনে হয়।’
ঈদের কেনা-কাটার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবারের কেউ কিছু কেনেনি। তনুর দুই ভাইয়ের মনও খারাপ। গত ঈদে পরিবারের সবার জন্য কেনা-কাটা তনুই করেছে। তার নিজের, দুই ভাই, বাবা এবং আমার সবার কাপড় তনুই পছন্দ করত। এবার আমার শ্বশুরের জন্য শুধু একটি পাঞ্জাবি কিনেছি।
ঈদ গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে করব। সেনানিবাসের বাসায় কোনো প্রতিবেশী এখন ভয়ে আমাদের সঙ্গে মিশতে চায় না। বাইরে গেলে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। এখানে আমাদের পাহারা দিয়ে রাখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন তনু নানা ধরনের খাবার তৈরি করত। কেক, সমুচা, হালিম, নুডুলস, মাংসের কাবাব, ডিম পিঠা তার পছন্দের খাবার ছিল। এগুলো দিয়ে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের আপ্যায়ন করত। তনুর বাবার পছন্দ কাচ্চি বিরিয়ানি। তনু সেটিও রান্না করত।
এখন নামাজের বিছানায় বসে তনুর বাবায় কান্দে, আমিও কান্দি। সিআইডি বলেছে ঈদের পরে তনুর মামলার বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করবে। মেয়েতো হারিয়েছি, দেখি বিচারটা পাই কিনা।’

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: