নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী নিহত সোহাগী জাহান তনুর মামলার তদন্ত তদারককারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানের বদলি নিয়ে তনুর মা আনোয়ারা বেগম শনিবার সন্ধ্যায় মত প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ড.নাজমুল করিম খান বলেছিলেন, ঈদের পরে মামলা একটা পর্যায়ে যাবে। কিন্তু তিনি বদলি হয়ে গেলেন। তার তদারকিতে মামলাটি এগিয়ে যাচ্ছিলো। বিশেষ করে ডিএনএ রিপোর্টের বিষয়টি মামলাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তার বদলিতে মনে হচ্ছে, সরকারের চেয়ে তনুর খুনিরা বেশি শক্তিশালী।
গরিবের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে, তনুর মা আনোয়ারা বেগম দেশের মানুষ, সরকার ও মিডিয়ার সহযোগিতা চান বলে জানান।
নাজমুল করিম খানকে সোমবার রাজশাহী বদলি করা হয়। বুধবার তিনি কুমিল্লা থেকে বিদায় নিয়েছেন। সিআইডি কুমিল্লার একটি সূত্র তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি বদলি হয়ে গেলেও এখনও ঢাকায় তনুর মামলা নিয়েই কাজ করছেন।
ফোনে চেষ্টা করে ড. নাজমুল করিম খানকে পাওয়া যায়নি।
সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক তনুর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী মো. ইব্রাহিম মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসার পাশের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১মার্চ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন।
৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ৪ এপ্রিল দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ।
১৬ মে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন।
১২ জুন ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনেও তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকার কথা বলা হয়।
0 facebook: