31 July 2016

১৬ মে’তেই আটকে আছে তনু হত্যা মামলা


কুমিল্লা রিপোর্ট২৪ ডেস্কঃ কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার চার মাস ১১ দিন গেছে শনিবার (৩০ জুলাই)। চার মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আশার আলো নেই তনু হত্যা মামলায়। মামলা এখনও আটকে আছে ১৬ মে প্রকাশিত ডিএনএ রিপোর্টে। তনুর কাপড়ে পাওয়া তিন পুরুষের শুক্রানুর সঙ্গে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ মেলানোর কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। সিআইডি এক সময় সন্দেহভাজনদের ডিএনএ পরীক্ষার কথা বললেও এখন তারা মুখ খুলছেন না।
রবিবার এসব কথা বলেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম।
তনুর মা অভিযোগ করেন, সিআইডি বলেছিলো ঈদের পরে তনুর মামলার অগ্রগতি হবে। ঈদের পর গত প্রায় এক মাসেও তেমন খোঁজ-খবর পাইনি। তনুকে সেনানিবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। সিআইডি সন্দেহভাজনদের তালিকাও করেছে। তাদের আটক করে ডিএনএ টেস্ট করলেই হত্যাকারী শনাক্ত হয়ে যায়। অথচ তা করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় হত্যাকারীরা সরকারের থেকেও বেশি শক্তিশালী। তবে দেশের মানুষের সমর্থন ও মিডিয়ার সহযোগিতা না থাকলে এতোদিনে হয়তো তনুর মতো মামলাটিরও কবর দেওয়া হয়ে যেতো।
তনুর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো.ইব্রাহিম বলেন, মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে মামলার অগ্রগতি নিয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাসার পাশের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। ওই দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন। গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ৪ এপ্রিল দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। গত ১৬ মে তনুর কাপড়ে তিন পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারও আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। ১২ জুন দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনেও তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকার কথা বলা হয়।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: