28 July 2016

কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী পূবালী ব্যাংক ভবন রক্ষার দাবি


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী জরাজীর্ণ পূবালী ব্যাংক ভবনরক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। কুমিল্লার নগরীর ব্যস্ততম কান্দিরপাড় এলাকাটিকে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটিকেই কেন্দ্র করে নাম করণ করা হয় পূবালী চত্ত্ব। নগরীর প্রাণকেন্দ্রের নামে ভবনটি হওয়াতে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তা না ভেঙ্গে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
জরাজীর্ণ পূবালী ব্যাংক ভবনটির ভাঙ্গণ সঙ্কট নিরসনে বুধবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সাথে আলাদা বৈঠক করেছেন কুমিল্লার ব্যবসায়ী ও পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মেয়রের সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, রাজনীতিবিদ আবদুর রউফ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা পার্থ সারথি দত্ত ও মাইনুল হাসান লিহিন, বেলায়েত হোসেনসহ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে কুমিল্লার পূবালী ব্যাংকের প্রধান শাখার একটি অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে। এসময় ভবনের নিচের সড়কে ভ্রাম্যমাণ এক ব্যবসায়ী ও একজন পথচারী আহত হন। জনগণের চলাচলের সুবির্ধাথে ও দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার রাতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তার পাশের কার্নিশের কিছু অংশ সরিয়ে নেয়া হয়। এসময় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের ভবনটি সংস্কারের দাবি জানান।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: