13 June 2016

এক যুগের ঐতিহ্যে বাঙলা রেস্তোরা


কুমিল্লা রিপোর্ট২৪ ডেস্কঃ রমজানের প্রথম দিন থেকে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বাঙলা রেস্তোরায় রোজদারীদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ইরানী জিলাপীর এখন ব্যাপক চাহিদা। প্রতিদিনই রোজদারীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্যতিক্রমী এই ইরানী জিলাপী সুস্বাদু হওয়ায় রোজদারীরা ইফতারির সাথে এ জিলাপীর আইটেম রাখেন। গতকালও বাঙলা রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখা যায়, ইরানী জিলাপীসহ বাঙলা রেস্তোরাঁর ইফতারী কিনতে রোজদারীদের ভিড়। গত বছরের মতো এবারও ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে প্রস্তুত রয়েছে বাঙলা রেস্তোরা কর্তৃপক্ষ। তবে ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদার কারণে ইরানী জিলাপী তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে কারিগররা। ২০০৫সাল থেকে এখনো পর্যন্ত খাবারের ঐতিহ্য ধরে রাখছেন বাঙলা রেস্তোরা।
শুধু ইরানী জিলাপীই নয়, বাঙলা রেস্তোরার অন্যান্য ইফতার সামগ্রীও রোজাদারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। বাঙলা রেস্তোরার অন্যান্য ইফতার আইটেমের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজু প্রতি পিস ৫ টাকা, বেগুনি ৫টাকা, ডিম চপ ১৫ টাকা, সবজি পাকুরা ৫টাকা, ছোলা প্যাকে ২০ টাকা, জালি কাবাব প্রতিটি ৩০ টাকা, ভেজিটেবল সমুচা ১৫ টাকা, চিকেন সমুচা ২৫ টাকা, চিকেন মিক্সড পনির সমুচা ২৫টাকা, স্প্রিং রোল ২৫ টাকা, ভেজিটেবল রোল ২০ টাকা, চিকেন মিক্সড পনির রোল ৩৫ টাকা, ড্রাম স্ট্রিক ৩৫ টাকা, কাঠি কাবাব ৩০ টাকা, স্পেশাল জিলাপী ৩৫০ টাকা কেজি, বুন্দিয়া প্যাকেট ২৫ টাকা, খাসীর তেহরি ১২০ টাকা, গরুর তেহরী ১১০ টাকা, কাচ্চি বিরিয়ানি ২০০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি ১৬০ টাকা, শাহী হালিম (গরু) ২২০ টাকা, শাহী হালিম (খাসি) ২৪০ টাকা, বোরহানী ১২০ টাকা, স্পেশাল লাচ্ছি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ফালুদা ৯০ থেকে ২৫০ টাকা।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: