13 June 2016

২য় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান তনুর পরিবারের


কুমিল্লা রিপোর্ট২৪ ডেস্কঃ তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেনতনুর বাবা-মাসহ স্বজনরা।তনুর মৃত্যুর কারণ চিহিৃত না করে প্রতিবেদন দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ‘তনু সবসময় বোরকা পরে চলতো, এখন ডাক্তাররা আমার মরা মেয়ের চরিত্র হনন করছেন।’তিনি বলেন, ‘সেনানিবাসের ভেতর একটি বাসায় তনুকে হত্যাকরে মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। আমরা মরদেহ উদ্ধার না করলে হয়তো শিয়াল-কুকুরে তার মরদেহ খেতো, তখন হয়তো বলা হতো শিয়াল কুকুরই তনুকে মেরেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘ঘাতকরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই ডাক্তাররা মৃত্যুর কারণ গোপন রেখেছেন। মেয়ে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে এখনআমাদের সেনানিবাস থেকেই বের করে দেয়ার চেষ্টা চলছে।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মেয়েটা সেনানিবাসের ভেতরই মারা গেছে, তার শরীরে এতো জখম থাকার পরও এখন ডাক্তাররা তার মৃত্যুর কারণ খুঁজে পায় না। আমার তনুকে ফিরিয়ে দেয়া হোক, আমরা সেনানিবাস ছেড়ে চলে যাব।’ গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জেলার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে তনুকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় তনুর বাবা অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।এই হত্যাকাণ্ডে দেশে-বিদেশেতুমুল আলোড়ন ওঠে।এর আগে ৪ এপ্রিল তনু হত্যার প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়। এমনকি ওই রিপোর্টে তনুর মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণও উল্লেখ করা হয়নি।ময়নাতদন্তের ওই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন তনুর বাবা ইয়ার হোসেনসহ সচেতন মহল। এরপর আদালতের নির্দেশে ৩০ মার্চ তনুর লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর মামলাটি কুমিল্লা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হলে মরদেহ পুনঃময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: