বিশেষ প্রতিবেদনঃ কুমিল্লার ইনিংস, একাদশতম ওভার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে এগিয়ে এসে সেকুগ্গে প্রসন্নকে তুলে মারলেন ইমরুল কায়েস। দুটো বলেই ফলাফল একই – ছক্কা! ১২ তম ওভার শেষে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সংগ্রহ ৯৪ রান।
তখন ম্যাচটা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হাতের মুঠোয়। কিন্তু, এরপরই যেন বদলে গেলো ম্যাচের গতিপথ। ম্যাচের মোড় অনেকটাই ঘুরে গেলো বরিশাল বুলসের দিকে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ‘আন্ডারডগ’ দলটাই তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রক।
শেষ ওভারেও দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম বলেই রান আউট হয়ে ফিরলেন শুভাগত হোম। কিন্তু শেষ চার বলেই সব হিসেব-নিকেশ আবার বদলে দিলেন এমন একজন যিনি নিলামে কোন দলই পাননি প্রথমে - অলক কাপালি। চার বলে ১১ রান তুলে নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে চ্যাম্পিয়ন করে দিলেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরের ফাইনালে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশাল বুলসকে তিন উইকেটে হারিয়ে দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বরিশাল বুলসের দেয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে সাত উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে, বরিশালের ইনিংসের প্রাণভোমরা হয়েছিল একটা জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শাহরিয়ার নাফিসকে সাথে নিয়ে বরিশালের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ৮১ রান। ওভার প্রতি ৯.২ হারে রান তুলে বরিশালের ইনিংসটাকে ১৫৬ রানে নিয়ে যাওয়ার কৃতীত্বটা এই দুজনের।
ইনিংসের ২০ তম ওভারে আউট হওয়ার আগে রিয়াদ করেন ৩৬ বলে ৪৮। আর ৩১ বলে ৪৪ করে অপরাজিত থাকেন নাফিস। এর বাদে বলার মত ইনিংস খেলেছিলেন ওপেনিংয়ে নামা লঙ্কান ব্যাটসম্যান সেকুগ্গে প্রসন্ন। ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন তিনি।
0 facebook: