বিশেষ প্রতিবেদনঃ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটা যে এতটা এক তরফা হবে সেটা আগে থেকে একেবারেই অনুমান করা যায়নি। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেয়া ১৬৩ রানের সুবাদে ১৭ ওভারে মাত্র ৯১ রানেই অল আউট হয়ে যায় সাকিব আল হাসানে রংপুর।
ফলে, ৭২ রানের বড় জয় নিয়ে ফাইনালে চলে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। আগামী ১৫ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। ফাইনালে মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ অবশ্য এখনও চুড়ান্ত হয়নি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আসহার জাইদি।
ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাত্র তিন জন ব্যাটসম্যান পৌঁছাতে পেরেছেন দুই অংকের ঘরে। এর মধ্যে ২০ বলে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ওপেনার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডল সিমন্স। এছাড়া মোহাম্মদ নবি ১২ ও থিসারা পেরেরা ১১ রান করেন।
রংপুরের ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় ধস নামান বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনি ও ইংল্যান্ডের পাকিস্তানি বংশদ্ভুত বাঁ-হাতি স্পিনার আসহার জাইদি। দু’জনেই নিয়েছেন চারটি করে উইকেট। এছাড়া টানা চার ম্যাচ পর পুরো চার ওভার বল করলেন মাশরাফি। তাতে ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বোলিংয়ে ধারটা আছে আগের মতই।
এর আগে ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ভাল ছিল কুমিল্লার। উদ্বোধনী জুটিতে ১১ ওভারেই চলে এসেছিল ৭৯ রান। টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় মোটেই মন্দ কোন রান নয়। সেখান থেকে অন্তত মারমার কাট কাট ব্যাটিং করে ১৭০-১৮০ রান খুবই সম্ভব ছিল । কিন্তু, সেটা সম্ভব হল না লঙ্কান পেসার থিসারা পেরেরার কল্যানে।
কোয়ালিফায়ারে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই পেসারের পাঁচ উইকেটের সুবাদে ১৬৩ রানে গিয়ে থামলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
চার ওভার বল করে রংপুর রাইডার্সের এই তারকা ২৬ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। সাত উইকেটে নির্ধারিত ২০ ওভারে লড়াই করার পুঁজি পাওয়া কুমিল্লার হয়ে ব্যাট হাতে তারকা মূলত দু’জন। তারা হলেন –ইমরুল কায়েস ও আসহার জাইদি। ইমরুল ৪৮ বলে ৬৭ ও জাইদি ১৫ বলে ৪০ রান করেন।
বল হাতে ব্যর্থ রংপুরের অধিনায়ক সাকিব। চার ওভার বল করে ৪২ টি রান দিয়েছেন তিনি! পরে ব্যাট হতেও কোন রান না করেই ফিরে যান প্রথম বলে, আর তার দলও ব্যর্থই হল!
0 facebook: