28 November 2015

কুমিল্লার জগন্নাথ দিঘি মুক্ত দিবস আজ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ২৮ নভেম্বর। ১৯৭১ সালে এই দিনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথ দিঘি এলাকা হানাদার মুক্ত হয়। এখানকার ইপিআর ক্যাম্পে পাক হানাদার বাহিনী অবরুদ্ধ থাকার পর রাত প্রায় ৩টার দিকে আগত অতিরিক্ত সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরের সহায়তায় তারা ক্যাম্প ত্যাগ করে। এটাই ছিল কুমিল্লার প্রথম হানাদারমুক্ত অঞ্চল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ওই এলাকার ডিমাতলী বড় টিলায় ছিল মুক্তি বাহিনীর ক্যাম্প। এই ক্যাম্প প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বেশ সুসংগঠিত ছিল। ২৮ নভেম্বর ওই এলাকার পাকহানাদার মুক্ত হওয়ার খবরে সেখানে উপস্থিত হন গণপরিষদ সদস্য যথাক্রমে মীর হোসেন চৌধুরী, হাজী আলী আকবর, আবদুল আউয়াল ও জালাল আহমেদ। তাদের উপস্থিতিতে ক্যাম্প চিফ জসিম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী  সেখানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
প্রতি বছরের মতো আজও এ দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। প্রথম মুক্তাঞ্চলের পতাকা উত্তোলক বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রথম হানাদারমুক্ত এলাকা হিসেবে এ এলাকাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বর্ডার গার্ড ক্যাম্প সংলগ্ন জগন্নাথ দিঘি মুক্তাঞ্চল স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: