06 October 2015

কুমিল্লা বিভাগীয় কার্যালয়ের স্থান নির্ধারণ হবে শিগগিরই !


নিজস্ব প্রতিবেদক: জনবল কাঠামো নিরুপণ করেছে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তায়নে গঠিত কমিটি। বিভাগীয় কার্যালয়ের স্থান শিগগিরই নির্ধারণ হবে বলেও জানিয়েছে কমিটি।
বিভাগ বাস্তবায়নের সব বিষয় ঠিক করে নির্দিষ্ট সময়ে এই কমিটি সুপারিশ দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে বিভাগ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে সরকারিভাবে।
এক সপ্তাহ আগে সমন্বয় ও সংস্কার সচিব নজরুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে প্রতিবেদন দেওয়া কথা রয়েছে কমিটির।
গত ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা নিয়ে দুটি বিভাগ গঠন বিষয়ে দায়িত্ব দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে। ওইদিনই ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনে সম্মতিও দিয়েছিল মন্ত্রিপরিষদ। আর গত ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা জাতীয় সংসদে বৃহত্তর ফরিদপুর এবং নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চল মিলিয়ে কুমিল্লাকে বিভাগ করার কথা জানান।
পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় ৪ জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগ বাস্তবায়নের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কমিটির প্রধান সমন্বয় ও সংস্কার সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ৮ দিন আগে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কয়টি কর্মদিবস কাজ করে প্রথম বৈঠকেই আমরা দুটি বিভাগের জনবল কত হবে তা নিরুপণ করেছি।
তিনি বলেন, কোন কোন জেলা নিয়ে নতুন বিভাগ দুটি হবে, জনসংখ্যা কত হবে, কত টাকা ব্যয় হবে, জনবল কত সংখ্যক হবে তা নিরুপণ করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে বিভাগীয় কার্যালয় কোথায় তা নির্ধারণ করা হবে। বিভাগীয় কমিশনার অফিস কোথায় হবে তাও নির্ধারণ করা হবে আগামী দুই বা তিনটি বৈঠকের মাধ্যমে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানান সমন্বয় ও সংস্কার সচিব।
এর আগে রোববার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা জানিয়েছিলেন, প্রতিবেদন পাওয়ার পর ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: