14 September 2015

কুমিল্লার নতুন থানা ভাঙ্গুরাবাজার।

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিভক্ত হল কুমিল্লার তথা সমগ্র বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মুরাদনগর উপজেলা। ২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই বৃহৎ উপজেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে শ্রীকাইল, আন্দিকোট, রামচন্দ্রপুর(উঃ), আকুবপুর, পূর্বধৈইর(পূর্ব), পূর্বধৈইর(পশ্চিম), বাঙ্গরা(পূর্ব), বাঙ্গরা (পশ্চিম), চাপিতলা, টনকি এই ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে বাঙ্গরাবাজার নামে নতুন একটি থানার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) বৈঠকে এবিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাঙ্গরাবাজার নামে নতুন থানার নীতিগত সিদ্ধান্তের সংবাদ পেয়ে উক্ত এলাকার জনসাধারনের মধ্যে নেমে আসে উৎসবের আমেজ। সবার মধ্যে চলছে মিষ্টি বিতরন। উল্লেখ্য ঃ গত ২০১৩ সালে মুকলেশপুর গ্যাসক্ষেত্র উদ্বোধনের সময় জনসাধারনের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহত্তর মুরাদনগর থানাকে দুই ভাগে বিভক্ত করার জন্য তৎকালীন সরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রধান করেছিলেন। এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মবর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ভিবক্ত হওয়ার বিষয়টি আমি অবহিত নই, এ ব্যাপারো কোন কাগজ-পত্র আমরা পাইনি।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।