কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রীজে অবৈধ বাস ট্রার্মিনালের কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের কবলে নগরবাসী।
শহরের যানজট নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য সরকারী নিজস্ব জায়গায় আন্ত:জেলা বাস ট্রামিনার নির্মান করা হয়েছে কিন্তু সেখানে যাত্রী উঠা নামা না করে টমছমব্রীজস্থ এসে যাত্রী উঠা নামা করার ফলে টমছমব্রীজ একটি বিপদজনক ও ব্যস্তময় জায়গায় পরিণত হয়ে উঠছে। এতে করে ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীরা যানজটে ডুবে থাকতে হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কিছু পরিবহন অবৈধ ভাবে গাড়ী পার্কিং করছে, এমনকি জাঙ্গালিয়া বাস ষ্টান থাকা শর্তেও কিছু বাস টমছমব্রীজ এসে যাত্রী উঠানামা করে। শাহ্ আলী পরিবহন, যমুনা পরিবহন, উপকূল, বোগদাদ, আজমীর, বলাকা সার্ভিস, প্রিন্স সৌদিয়া, রয়েল পরিবহনসহ বিভিন্ন অস্থায়ী পরিবহন গুলো টমছম কেন্দ্রীক যাত্রী উঠা নামা করে।
এদিকে টমছমব্রীজ অবস্থানরত দুটি পিলিং ষ্টেশনে অবৈধ ভাবে গাড়ী পার্কিং করার ফলে দৈনিক যানজটে দূর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে ও বিঘ্ন গটছে চলাচলের। এতে করে ট্রাপিক পুলিশ প্রতিনিয়ত যানজট নিয়ন্ত্রনে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপরদিকে এম্বুলেন্স ও যাতায়াত কৃত মানুষ মানবিক বিপদে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়।
অন্য দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ইঞ্জিনিয়র ইনস্টিটিউট এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রদান গেটের সামনে এ সমস্ত বাস গুলো যাত্রী উঠা না ও আসা যাওয়ার কারনে সড়ক ভেঙ্গে ও ডেবে খালের দিকে চলে যাচ্ছে। এমনকি ছোট বড় গর্তের সৃষ্টির ফলে প্রতিদিন রিকশা, সিএনজি ও ইজিবাহিকসহ বিভিন্ন যানবাহন এই গর্তে পড়ে দুর্ঘনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রদান গেইটের সামনে সড়কের উপর শাহআলী নামে অবৈধ একটি বাস ষ্টেন বসিয়ে টমছমব্রীজ-বিশ্বরোড় সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি করছে।
এ ব্যাপারে টমছমব্রীজ বাস ষ্টেনের একজন চালক নাম প্রকাশে অনহীয়া প্রকাশ করে জানান, বাস মালিক ও প্রশাসনের সৎ ইচ্ছার কারণেই আমরা এখান পর্যন্ত গাড়ী এনে যাত্রী উঠা নামা করি। আমরা পরিবহন শ্রমিক আমাদের যা বলবে তাহা শুনতে হবে।
কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ অফিসার আবদুর রব বলেন, আমিতো সেটা জানিনা, তবে অবৈধ ভাবে গাড়ী পার্কি করলে আমি বলে দিবো অবস্থানরত ট্রাপিকদেরকে।