মো: লুৎফুর রহমানঃ কুমিল্লা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিকসহ
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। এসব ভবনে মানুষ দিনের পর দিন
বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় সেখানে
যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে
আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরনো ও পরিত্যক্ত
ভবন। কুমিল্লা পৌরসভা ও পরবর্তী সময় সিটি করপোরেশন হওয়ার
পর এ পর্যন্ত ১০১টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এগুলো
অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট ভবন মালিক-কর্তৃপক্ষকে নোটিস
দেয়া হলেও গত ৬ বছরেও তা কার্যকর হয়নি। সরকারি ও রাজনৈতিক
প্রভাবশালীদেরও ভবন রয়েছে এই তালিকার মধ্যে। এদিকে
নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ দালান, নকশা অনুমোদনের আকার-আকৃতি
পরিবর্তন করে নির্মিত দালানও রয়েছে অনেক। এছাড়া নগরের
রেসকোর্স এলাকায় ৫তলা একটি ভবন ৪তলা ভবনের ওপর
হেলে পড়ার দুই বছরেও তা অপসারণ করা হয়নি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ
ভবনের আরও একটি হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ
দেয়া হয়েছে। এ তালিকা অনুযায়ী ১৯ মের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ-
পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
নুরুল্লাহ্ জানান, তালিকাভুক্ত ১০১টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে সিটি
করপোরেশনের মালিকানাধীন কান্দিরপাড় এলাকার মসজিদ
মার্কেট ভেঙে ৬ তলা নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তিনি
আরও জানান, হালনাগাদ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের এলাকাভিত্তিক আরও একটি
তালিকা প্রস্তুত করে ৫ মের মধ্যে দাখিল করার জন্য
সার্ভেয়ারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর
ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি দেয়া হবে।
এ মাসের ১৫ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো
ভেঙে ফেলা হবে।
23 August 2015
Author: নতুন প্রজন্ম কুমিল্লা
কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।
আরো দেখুনঃ
- Blog Comments
- Facebook Comments