19 August 2015

কুমিল্লায় নীল পদ্ম হোটেলে অনৈতিক কাজে লিপ্ত ৫ তরুণী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার বিকালে আর্দশ সদর উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ দূর্গাপুর ইউনিয়নের ঝাগুর ঝুলি বিশ্বরোড আবাসিক হোটেল নীল পদ্ম থেকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ৫ তরুনীকে আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। পুলিশের বিশেষ সূত্রে জানা যায়- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী থানার এসআই শামিম ও ক্যান্টম্যন্ট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হোটেলের ২য় তলার প্রায় ১৮ টি রুম থেকে হাতে নাতে ৫ তরুণীকে আটক করে। তবে আবাসিক হোটেলটির পিছনে গোপন চলাচলের রাস্তা থাকায় অনৈতিক কাজে জড়িত কিছু বখাটে ছেলে, খদ্দের দৌড়ে জলাশয় দিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো: শাহ আবিদ হোসেন বলেন, কুমিল্লা জেলায় যে সকল হোটেলে এ ধরনের অনৈতিক, অসামাজিক কর্মকান্ড হয়ে থাকে তা আমি জরুরী পুলিশ ফোর্সের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিব, এছাড়াও অবৈধ আবাসিক হোটেলের মালিক কিংবা ভবনের মালিককে ও আইনের আওতায় আনা হবে। আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন কুমিল্লার বার্তা ডটকমকে বলেন, উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ কোতয়ালী থানার পুলিশের মাধ্যমে আইনী ব্যবস্থা নিতে হইবে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়- প্রায়ই দীর্ঘ দিন ধরে হোটেলের মালিক কবির মিয়া, কেয়ার টেকার হাছানকে বিভিন্ন সময় অনৈতিক কাজে লিপ্ত তরুণী মেয়েদেরকে দিয়ে জমজমাট দেহ ব্যবসা করে আসছে। আটককৃত পতিতা তরুণী মেয়েদের সাথে কথা বলে জানা যায়- হোটেলের কেয়ার টেকার হাছান তরুনীদের সাথে মোবাইলে রং নাম্বার পরিচয়ে অভিনব কায়দায় তরুনীদের দিয়ে আবাসিক হোটেল গুলোতে ব্যবসায় কার্য চালিয়ে আসছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে তাদেরকে এসব কাজে বাধা দেওয়ায় অনেককেই লাঞ্চিত করা হয়েছে, সেই সময় পুলিশকে তথ্য দিলেও আসেনি। ঘটনাটি সর্ম্পকে প্রতিবেদন চাইলে পুলিশ জানায়- আমরা কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো: শাহ আবিদ হোসেন মহোদয়ের নির্দেশে হোটেল থেকে পাঁচ তরুনীকে হাতে নাতে আটককের পর থানায় নিয়ে আসি। আটককৃত তরুণীদের তথ্য মতে তারা হলেন- হোসনেয়ারা বেগম (২৮) পিতা- মৃত জসিম মিয়া, গ্রাম- চানমারি, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়নগঞ্জ। মুক্তা আক্তার (২৫), পিতা- নূর মোহাম্মদ, গ্রাম- দক্ষিণ শালকাটি, থানা- ভান্ডারিয়া, জেলা- পিরোজপুর। নিশাদ আক্তার (১৬), পিতা- তাজুল ইসলাম, গ্রাম- অশ্বিদিয়া (বিজরা), থানা- লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, লিজা আক্তার (১৯), পিতা- রহমত উল্লাহ্, গ্রাম- রাজাপুর, থানা- বালাগঞ্চ, জেলা- সিলেট, রুপা আক্তার (১৮), পিতা- মৃত আলমগীর, গ্রাম- মাইজপুর, থানা- ফটিকছড়ি, জেলা- চট্টগ্রাম। তাদেরকে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার দ্রুত আইনে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুত্তি চলছে। এদিকে হোটেলে অভিযান চলাকালে মালিক, ম্যানেজার, কেয়ারটেকার, কর্মচারী ও খদ্দেররা বিল্ডিংয়ের ২য় তলার সুরঙ্গ দিয়ে বাশের সাহায্যে অভিনব কায়দায় পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে উক্ত আবাসিক হোটেল বিভিন্ন কক্ষ থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামাগ্রী পাওয়া যায়।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।