10 July 2015

কুমিল্লার পাসপোর্ট কার্যালয়ে হয়রানি বন্ধ করার দাবি


নিজস্ব প্রতিবেদক: পাসপোর্ট কার্যালয়ে হয়রানি ও দালাল চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবি জানিয়েছে কুমিল্লার নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে পুলিশি ভেরিফিকেশনের নামে টাকা আদায় ও হয়রানির প্রতিকার চেয়েছে তারা। পাসপোর্ট-সেবাকে জনমুখী করার লক্ষ্যে গত বুধবার কুমিল্লায় আয়োজিত এক ‘গণশুনানি ও সোশ্যাল মিডিয়া আড্ডা’য় ওই দাবি জানানো হয়।'

জেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট দপ্তরের যৌথ আয়োজনে ওই আড্ডা হয়। এতে নগরের বিভিন্ন পেশাজীবী অংশ নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা একটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ওই আড্ডা হয়। আড্ডায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এন এম জিয়াউল আলম। বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন) কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ মানিক মাহমুদ, কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ। একই সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম ও দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সারা দেশে ১ কোটি ১০ লাখ লোকের হাতে মেশিন রিডেভল পাসপোর্ট (এমআরপি) রয়েছে। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ হাজার এমআরপি পাসপোর্ট প্রিন্ট করে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে হাতের লেখা পাসপোর্ট বাতিল করা হবে। 

কুমিল্লা অঞ্চলে বিদেশগামী লোকের সংখ্যা বেশি। ওই হিসেবে কুমিল্লা পাসপোর্ট কার্যালয় সারা দেশের মধ্যে একটি ব্যস্ত অফিস। এ কার্যালয়ে এখন আর দালাল চক্রের মাধ্যমে আগের মতো হয়রানি হওয়ার সুযোগ নেই। পাসপোর্ট-সেবাকে জনমুখী করার জন্য সরকার গণশুনানি ও সোশ্যাল মিডিয়া আড্ডার আয়োজন করেছে। দেশের আটটি স্থানে ওই আড্ডা হয়।

গণশুনানিতে কুমিল্লার নাগরিক সমাজের অন্তত ১০ ব্যক্তি বলেন, পাসপোর্ট করতে গেলে পুলিশি ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি করা হয়। একই সঙ্গে দালাল চক্রের কাছে কুমিল্লা পাসপোর্ট কার্যালয় জিম্মি হয়ে আছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রশাসনের কাছে তাঁরা সহযোগিতা চান। একই সঙ্গে পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার পক্ষে মত দেন তাঁরা।

ভিডিও কনফারেন্সে মো. আবদুল্লাহ বলেন, পাসপোর্ট-সংক্রান্ত ভোগান্তি মানুষের দীর্ঘদিনের। সারা দেশের ৬৭টি অফিসে অনলাইনে পাসপোর্ট-সেবা দেওয়া হচ্ছে। আরও সহজভাবে কীভাবে সেবা দেওয়া যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।