26 July 2015

প্রাণিশূন্য হচ্ছে কুমিল্লার বনাঞ্চল


নিজস্ব প্রতিবেদক: দিন দিন প্রাণিশূন্য হচ্ছে কুমিল্লার বনাঞ্চল। এখানে আগের মতো পাখির কুঞ্জন নেই, নেই বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ। পাঁচ বছর আগেও কুমিল্লার বনাঞ্চলে খরগোশ, বানর, সজারু, খেঁক শিয়াল, বেজি, কাঁঠ বিড়ালী, উঁদসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণি দেখা যেতো।
সমপ্রতি এগুলোর উপস্থিতি কমে গেছে। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য।
কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের সূত্রমতে, জেলায় সরকারি এক হাজার ৬৮৯ দশমিক ৮৩ একর বনাঞ্চল রয়েছে। এরমধ্যে কোর্টবাড়ীতে ৫১৬.০৬, সদর দক্ষিণের রাজেশপুরে ৫৮৭.৮৯, সদর দক্ষিণের যশপুরে ৪৫০.০৬, চৌদ্দগ্রামের আমানগন্ডায় ৭৮.৮৩ এবং সদরের জামবাড়িতে ৫৬.১৮ একর।
বনাঞ্চলের রাজেশপুর এবং কোর্টবাড়ীতে বেশি বন্যপ্রাণির দেখা মিলত। রাজেশপুরে ছয় বছর আগের জরিপে ছয় প্রজাতির উভচর, ৪০ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২৮ প্রজাতির পাখি ও ২৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণি ছিল।
বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করা ওয়াইল্ড ওয়াচ ইনফো সংগঠনের সভাপতি জামিল খান জানান, বনাঞ্চলের মধ্যে জনবসতি গড়ে উঠায় বন্যপ্রাণী তার পরিবেশ হারাচ্ছে।
কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, কুমিল্লায় সচেতনতার অভাবে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমছে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।