01 July 2015

কুমিল্লায় স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করলো স্বামী


নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার চিতড্ডা ইউনিয়নের ওড্ডা গ্রামে শাহিনুর (২২) নামের এক তরুনীকে জবাই করে হত্যা করেছে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন(৩৫)। সোমবার (২৯ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের কন্যা শাহিনুর আক্তারের সাথে ওড্ডা গ্রামের তাবারক হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন এর সাথে তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দেলোয়ার হোসেন তেমন কাজকর্ম করত না। দেলোয়ার শাহিনুরকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রায় সময় চাপ দিতো। এই নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই তাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। ঘটনার দিন সোমবার রাতে দেলোয়ার ও শাহিনুরের মাঝে এসকল বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘাতক দেলোয়ার চাপাতি দিয়ে স্ত্রী শাহিনুর আক্তার কে গলা কেটে হত্যা করে।
ঘটনা বুঝতে পেরে বাড়ীর লোকজন এর চিৎকারে গ্রামবাসী এসে ঘাতক দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত শাহিনুর আক্তারের লাশ উদ্ধার করে। পরে ঘাতক দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত শাহিনুর তাসফিয়া নামের এক কন্যা সন্তানের জননী। সে বরুড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী ছিলো।
এদিকে নিহত শাহিনুরের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৩৫, তাং- ৩০/০৬/২০১৫।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।