30 June 2015

কুমিল্লার অবহেলিত এক উপজেলা তিতাস


নিজস্ব প্রতিবেদক: ভালো রাস্তা না থাকায় যোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত কুমিল্লার অপেক্ষাকৃত নতুন উপজেলা-তিতাস। দাউদকান্দি থেকে সরু রাস্তার দীর্ঘ জ্যাম পেরিয়ে এই জনপদে ঢোকার পর চোখে পড়ে ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট। একটি ৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকলেও ওই বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে না তিতাসের মানুষ। 

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন কর্তন করে তিতাস নামে নতুন একটি উপজেলা যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ। ১০৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলার দক্ষিণে দাউদকান্দি, উত্তরে হোমনা, পূর্বে মুরাদনগর এবং পশ্চিমে মেঘনা উপজেলা। 

রাজধানী ঢাকা থেকে দূরত্ব মাত্র ৫৫ কিলোমিটার হলেও কুমিল্লা থেকে দূরত্ব আরো বেশি ৫৮ কিলোমিটার। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক থেকে হোমনা সড়ক দিয়ে এই উপজেলায় ঢুকতে শুরুতেই জিআরকান্দি সেতু। সরু সেতু দিয়ে শুধু একমুখী যান চলাচলের কারণে সেতুর দুপাশে প্রতিদিনই ভয়াবহ যানজট।

ওই যানজট পেরিয়ে তিতাসে ঢোকার পর অন্যচিত্র। যে রাস্তাটি তিতাসের উপর দিয়ে চলে গেছে মুরাদনগরের দিকে, সেই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে জীর্ণদশা। ভাঙ্গাচোরা ওই রাস্তার বিকল্পও নেই যাত্রী ও গাড়িচালকের কাছে।

এই জনপদের মানুষের আরেকটি বড় সমস্যা বিদ্যুৎ। ৫০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র  থাকলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে না এখানকার মানুষ।

এইসব সমস্যার বিষয়ে অবগত আছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারও।

রাস্তার উন্নয়নে কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসকও। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সমস্যা কেটে গেলে তিতাস হতে পারে একটি স্বনির্ভর উপজেলা।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।