14 June 2015

কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধবিহারে প্রাচীন কূপ ও টেরাকোটা (ভিডিও)


নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার শালবন বৌদ্ধ বিহারে খনন করে পাওয়া গেছে প্রাচীন সভ্যতার আরো কিছু নিদর্শন। এর মধ্যে আছে ১৪শ বছরের পুরনো মিঠা পানি সংরক্ষণ কূপ এবং পোড়া মাটির তৈরি ময়ূর ও প্রাচীন টেরাকোটা। প্রাচীন সভ্যতার আরো নিদর্শন পেতে খনন কাজ চালাচ্ছে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর। 

শালবন বৌদ্ধ বিহার প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৫৫ সালে এর খনন শুরু হয়। ধারণা করা হয়, সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিকে দেব রাজা ভবদেব বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য বিহারটি নির্মাণ করেন। প্রাচীন এ সভ্যতা দেখতে প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে অনেক দর্শণার্থী আসেন এ বৌদ্ধবিহারে।

প্রাচীন সভ্যতার খোঁজে এখনো চলছে খনন কাজ। এ বছর বিহারের মধ্যভাগে দেখা মেলে অষ্টম শতকের গভীর মিঠা পানির কূপসহ প্রাচীন আমলের দু’টি রাস্তা, ব্রোঞ্জ ও রৌপ্য মূদ্রা।

শালবন বিহারের দক্ষিণে লালমাই ও উত্তরের ময়নামতি পর্যন্ত প্রায় ১১ মাইল এলাকার ৫৫টি বিহারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৩টির খনন শেষ হয়েছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।

শালবন বৌদ্ধবিহারে মাটি খুড়লেই মেলে ইতিহাসের সন্ধান, গত ৫৯ বছরে এখানে মাটি খুড়ে পাওয়া গেছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাদ্বীর অনেক পুরাকীর্তি ও নিদর্শন। প্রত্নতাত্বিক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে যত মাটি খনন করা হচ্ছে, ততই পাওয়া যাচ্ছে সভ্যতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দশন।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।