নিজস্ব প্রতিবেদক: আইসিইউ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স, পর্র্যাপ্ত শয্যা, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি-চিকিৎসা উপকরণ সঙ্কটসহ বহুমুখী সমস্যায় রয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। মঙ্গলবার রাতে চান্দিনায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আহতদের কুমেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল।
কিন্তু পর্যাপ্ত শয্যা এবং আইসিইউ না থাকায় বুধবার দুপুরের মধ্যেই আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠাতে হয়েছে।
২০১২ সালের ২১ নভেম্বর কুমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় বার্ন ইউনিট চালু করা হয়। শুরুতে মাত্র চারটি শয্যা নিয়ে এটি চালু হলেও স্বল্পসময়ের ব্যবধানে তা ১৮ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
বুধবার বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, শয্যার অভাবে অনেক রোগী ফ্লোরে রয়েছেন। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে এক সহকারী অধ্যাপক, দুই রেজিস্ট্রার ও তিন সহকারী রেজিস্ট্রার রয়েছেন। শূন্য রয়েছে একজন করে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ।
এছাড়া জনবল কাঠামোতে নার্সদের পদ সৃষ্টি না হওয়ায় হাসপাতালের নিয়মিত নার্স দিয়েই বার্ন ইউনিটের সেবা চালু রাখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য ওয়ার্ড বয় রয়েছে একজন। এখানে পৃথক অস্ত্রোপচার কক্ষ এবং অ্যানেসথেশিয়াবিদ নেই।
১ বছরে এ বার্ন ইউনিটের বহির্বিভাগে ১ হাজার ২০২ জন এবং আন্তঃবিভাগে ১ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাবিব আবদুল্লাহ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমানে অবকাঠামো বৃদ্ধির কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হওয়ার পর শয্যাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও জনবল বাড়ানো হবে। এতে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসাসেবা আরও উন্নত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বার্ন ইউনিটের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মির্জা মুহম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম জানান, এখানে বর্তমানে ঢাকার মতো চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। আইসিইউ ইউনিট চালু, শয্যা বৃদ্ধি, উন্নতমানের আরও কিছু যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সসহ অন্যান্য শূন্য পদ পূরণ হলে ঢাকায় না গিয়ে রোগীরা এখানেই উন্নত ও পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পাবেন।