21 July 2013

ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার খাদি এখন বিলুপ্ত প্রায়


কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই…..মান্নাদের সেই গান আজও সকলের হৃদয়ের দরজায় কড়া নাড়েদেশ বিদেশে সমাদৃত ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার খাদি আর তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে কি? কুমিল্লার খদ্দর আজ আর নেই সেস্থান দখল করেছে মিশ্রিত আর লিলেন সূতার কাপড়আদি খদ্দরের এক টুকরাও এখন পাওয়া যাবে না যাদুঘরে রাখার জন্যচরকায় কাটা সূতায়, হাতের তাঁতে তৈরি খাদি কুমিল্লার এখন দুর্লভকুমিল্লার খাদি বা খদ্দর নামে যে কাপড় বিক্রি হচ্ছে তা মেশিনে তৈরি সূতার কাপড়লিলেন কাপড়, অথবা হাতে কাটা ও মেশিনে কাট সূতার সংমিশ্রণে তৈরি হস্তচালিত তাঁতে বোনা সূতি কাপড়

কুমিল্লা শহরে এখন শতাধিক বিশুদ্ধ খদ্দর বা খাদির সাইনবোর্ড লাগানো দোকানে এখন বিক্রি হচ্ছে এ ধরনের কাপড় অথবা লিলেন সুতা ও অন্যান্য কৃত্রিম সুতার তৈরি বস্ত্র

প্রাচীনকাল থেকে এই উপ-মহাদেশে হস্তচালিত তাঁত শিল্প ছিল জনদ্বিখ্যাতদেশের চাহিদা মিটিয়ে সব সময় এই তাঁতের কাপড় বিদেশে ও রপ্তানি হতোএকটি পেশাজীবী সম্প্রদায় তাঁত শিল্পের সাথে তখন জড়িত ছিলেনতাদেরকে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো যুগীবা দেবনাথবৃটিশ ভারতে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের সময়কালে ঐতিহাসিক কারণে এ অঞ্চলে খাদি শিল্প দ্রুত বিস্তার লাভ ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেতখন খাদি কাপড় তৈরি হতো রাঙ্গামাটির তূলা থেকেজেলার চান্দিনা, দেবিদ্বার, বুড়িচং ও সদর থানায় সে সময় বাস করতো প্রচুর যুগী বা দেবনাথ পরিবারবিদেশি বস্ত্র বর্জনে গান্ধীজীর আহ্বানে সে সময় কুমিল্লায় ব্যাপক সারা জাগে এবং খাদি বস্ত্র উৎপাদনও বেড়ে যায়দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে কুমিল্লার খাদি বস্ত্রএই বস্ত্র সমাদৃত ও জনপ্রিয়তা অর্জন করে কুমিল্লার খাদি হিসাবে

গান্ধীজী প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লার অভয় আশ্রম খাদি শিল্প প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেঅনুশীলন চক্রের আশ্রয় স্থল হিসেবে ছদ্ম বরণে প্রতিষ্ঠিত সমাজ কল্যাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভয় আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়বিদেশি কাপড় বর্জনের ডাকে যখন ব্যাপক হারে চরকায় সূতা কাটা শুরু হয়অভয় আশ্রম তখন সুলভে আশ্রমে তৈরি চরকা বাজারে বিক্রির পাশাপাশি নিজেরাও তৈরি করতে থাকে খাদি বস্ত্রবিভিন্ন গ্রামে তৈরি খাদি বস্ত্র ও এ সময় অভয় আশ্রমের মাধ্যমে বাজারজাত করতে শুরু করে

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ১৯২৬-২৭ সালে একটি ৮ হাত লম্বা ধুতি বিক্রি হতো মাত্র পাঁচশিকে দামেসে সময় কুমিল্লা অভয় আশ্রম প্রায় ৯ লাখ টাকা মূল্যের খাদি কাপড় বিক্রি করেছিলপ্রয়াত রবীন্দ্র সংগীত বিশারদ, অভয় আশ্রমের একজন কর্মী পরিমল দত্তের লেখা থেকে জানা যায়, বিপুল চাহিদা থাকলেও অভয় আশ্রম থেকে সে চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণ হতো না

খাদির দ্রুত চাহিদার কারণে দ্রুত তাঁত চালানোর জন্য পায়ে চালিত প্যাডেলের নীচে মাটিতে গর্ত করা হতোএই গর্ত বা খাদ থেকে যে কাপড় উৎপন্ন হতো সেই কাপড় খাদিএভাবে খাদি নামের উৎপত্তিক্রমান্বয়ে এই কাপড় খাদি বা খদ্দর নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে

স্বাধীনতা পরবতী সময় খাদি শিল্পের ছিল স্বর্ণযুগএর পরপরই আসে সংকটকালযুদ্ধ বিধ্বস্ত বস্ত্রকলগুলো তখন বন্ধবস্ত্র চাহিদা মেটাতে আমদানি নির্ভর দেশে হস্তচালিত তাঁতের কাপড়ের উপর প্রচুর চাপ পড়েদেশের বা মানুষের চাহিদার তুলনায় খাদির উৎপাদন ব্যাপক না হলেও চান্দিনা বাজারকে কেন্দ্র করে আশ-পাশের গ্রামগুলোতে তাঁতীরা চাদর, পর্দার কাপড়, পরার কাপড় তৈরি করতে শুরু করেস্বাধীনতার পূর্বে খাদির চাহিদা শীত বস্ত্র হিসেবে ব্যাপক ছিলখাদি বস্ত্রের চাহিদের সুযোগ এ অঞ্চলের কতিপয় অতীত সরকারের দেয় সুতা, রং এর লাইসেন্স গ্রহণের সুবাধে মুনাফা লুটে মধ্যস্বত্ব ভোগী হিসাবেসুলভ মূল্যে সুতা ও রংয়ের অভাবে প্রকৃত তাঁতীরা সে সময় তাদের মূল পেশা বদল করতে বাধ্য হন বলে জানান, চান্দিনার বৃদ্ধ তাঁতী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ৮০ দশকের মাঝামাঝি দেশে ব্যাপক হারে পাওয়ার লুম ভিত্তিক বস্ত্র শিল্প গড়ে উঠেফলে অতুলা জাত বস্ত্রের প্রসার ব্যাপক হারে ঘটেবেড়ে যায় পলিয়েস্টার, রেয়ন, ভিসকম এ্যাক্রেলিক সুতার ব্যবহাররপ্তানি মুখী তৈরি পোশাকের জন্য আমদানি হতে থাকে শুল্ক মুক্ত বিদেশি বস্ত্রএভাবে খাদ থেকে খাদি নামের যে বস্ত্রের প্রসার ঘটেছিল তা হারিয়ে যায় বিলুপ্তির খাদে

কুমিল্লার খাদি শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটলেও এই শিল্প মূলত কুটির শিল্পগ্রাম্য বধূরা গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে ফাঁকে চরকায় সুতা কেটে তাঁতীদের কাছে বিক্রি করে বাড়তি আয়ের সুযোগ পেতযে বৃদ্ধ লোকটি খেতে খামারে পরিশ্রম করতে পারত না, যে কিশোর- কিশোরী বাইরে শ্রম বিক্রির সুযোগ পেত না তারাও চরকায় সুতা কেটে সংসার বাড়তি আয়ের সুযোগ পেত

জেলায় মোট কতজন পেশাজীবী তাঁতী এ শিল্পের সাথে জড়িত, এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের খাতায় নেই

জানা যায়, ১৯৮২-৮৩ সালে ন্যায্য মূল্যে সুতা সরবরাহ করার লক্ষ্যে তাঁতীদের একটি সংখ্যা নিরূপনের জন্য জরিপ চালানো হলেও প্রকৃত তাঁতীর সংখ্যা কত সেটা বের করা সম্ভব হয়নিতাঁতীরা অশিক্ষিত বিধায় সরকারি যাবতীয় সুযোগ গ্রহণ করে একশ্রেণীর দালাল ফরিয়া

১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি বিসিক কুমিল্লা বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করেএর লক্ষ্য ছিল ঐতিহ্যবাহী খাদি বস্ত্রের ঐতিহ্য সংরক্ষণ, প্রকৃত সুতা কাটুনীদের নিয়মিত তূলা সরবরাহ, অম্বর চরকা প্রবর্তন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে উন্নতমানের খাদি সুতা উৎপাদন, চার হাজার সুতা কাটুনি ও ছয়শত তাঁতীর আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকোতয়ালি থানার সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ এবং দি খাদি এন্ড কটেজ ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন কো-অপারেটিভ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই প্রকল্প প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে এই শিল্পে জড়িত সমস্য, জর্জরিত সুবিধা, সুতা কাটুনী ও তাঁতীরা প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করতোবছরে তিন লাখ মিটার খাদি বস্ত্র উৎপাদিত হতোএতে করে দেশে চাহিদা মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হতো কিন্তু লাল ফিতার দৌরে এখনও পর্যন্ত এই প্রস্তাবটি আলোর মুখ দেখিনি

ঐতিহ্যবাহী খাদি বা খদ্দরে মূল ব্যবসা কেন্দ্র এখনো কুমিল্লাকে ঘিরেএ শিল্পটাকে ঘিরে কুমিল্লায় গড়ে উঠেছে বিশাল বাজারজেলার প্রসিদ্ধ খদ্দরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলতে কিছু দিন পূর্বেও যেখানে হাতে গোনা ৮-১০টি দোকানকে বোঝাতো এক তাদেরও নিজস্ব তাঁত ছিলসেখানে এখন এরকম দোকানের সংখ্যা জেলা সদরের অর্ধ্বশতের ও উপরে আর নিজ চরকায় কাটা সুতা বোনা কাপড় নিজস্ব দোকানে বিক্রির সংখ্যা শূন্যকুমিল্লা ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহীসহ বড় বড় শহরগুলোতেও বর্তমানে তৈরি কথিত এই খাদি বা খদ্দরের শার্ট ১২০-৩০০ টাকা, বিভিন্ন বাটিক ও শাড়ির মূল্য ২০৫-৮০০ টাকা, বিভিন্ন প্রকারের থ্রী পিছ ২৫০-৭৫০ টাকা, খদ্দরের থান কাপড় প্রতি গজ ৫০-১০০ টাকা, চাদর ১২০-৫০০ টাকা, বিছানার চাদর ২০০-৩৫০ টাকা, ফতুয়া ৮০-১০০ টাকা, লুঙ্গী ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে

বিশুদ্ধ খাদি বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ড কিংবা পত্রিকার পাতায় বিজ্ঞাপনে দেখা গেলেও এখন আর বাজারে নেইএ শিল্প এখন বিলুপ্তখাদির নামে বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে তা অখাদিশুদু মাত্র জেলার চান্দিনা এলাকায় খাদি শিল্প এখনও টিকে থাকলেও দেবিদ্বার, বুড়িচং, মুরাদনগর, কোতয়ালির প্রায় অধিকাংশ তাঁতী পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়ছেচান্দিনার কিছু তাঁতী ও কাটুনী বিভিন্ন বস্ত্রমিল থেকে ব্যবহারের অযোগ্য সুতা সংগ্রহ করে সেগুলো থেকে বেছে বেছে চরকায় সুতা কাটছেনএই সুতা ও মিলের সুতার সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে বর্তমান খাদি বস্ত্রফলে এখন আর চাইলেই আসল খাদি কাপড় যাওয়া যায় নাযে কারণে বাজারে কদর কমে গেছে খাদি বস্ত্রেরকর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার দক্ষ পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকবন্ধ হয়ে গেছে গৃহস্থালী কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাড়তি আয়ের সুযোগ

জেলার মুরাদনগরের জাঁহাপুর গ্রামের জগদাবালা দেবী (৭২) জানান, প্রায় ৫৫ বছর পূর্বে যখন তিনি এ গ্রামে বউ হয়ে আসেন তখন থেকেই দেখে আসছেন স্বামী, শ্বশুর পক্ষের লোকজন ছাড়াও এ গ্রামের বহু পরিবার খাদি কাপড় তৈরির সাথে জড়িত ছিলপরবর্তী সময়ে তিনি এ পেশায় জড়িত হয়ে এখন পর্যন্ত টিকে আছেনতিনি বলেন বর্তমানে খাদির অবস্থা বড়ই নাজুকদেশের মানুষ এখন আর বিদেশি কাপড়ের মোহে তাঁতের কাপড় ব্যবহার করছে নাএদেশের তাঁত তৈরি কাপড় যদিও বিদেশি কাপড়ের তুলনায় মানসম্পন্ন তবুও এর চাহিদা বর্তমানে নিম্মগামীফলে তাঁত বা খাদি শিল্প বর্তমানে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হচ্ছেসরকারও এখন এ রুগ্ন শিল্পটিকে সচল করার জন্য কোন সহযোগিতা করছে নাতিনি বলেন, বর্তমানে তার স্বামী পক্ষের লোকেরা যদিও বাঁচার তাগিদে এ পেশাকে এখনও ধরে রেখেছেন কিন্তু তার পুত্র বা পরিবারের পরবর্তী প্রজš§র সদস্যরা এখন আর এ পেশাকে ধরে রাখতে চাচ্ছেন না উপযুক্ত পারিশ্রমিকের অভাবেবর্তমানে তাদের তিনটি তাঁতে প্রতিটিতে ১২ গজ করে প্রতিদিন ৩৬ গজ কাপড় তৈরি হয়পাশ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার অরুণ বাবুর গ্রামীণ খাদি থেকে ওজন করে সুতা এনে কাপড় তৈরি করে সুতার সমপরিমাণ ওজনের কাপড় তাকে বুঝিয়ে দিতে হয়এ জন্য প্রতিটি তাঁত কাপড় বুনোনকারীকে কাজের পারিশ্রমিক হিসাবে দৈনিক ১২০ টাকার প্রদান করেন অরুণ বাবুসেটা থেকে শ্রমিকের মুজুরি দিয়ে প্রতিটি তাঁত থেকে আয় হয় মাত্র ২০ টাকাএসব কথা এখানকার সকল তাঁতীদেরমুরাদনগরের শংকর দেবনাথ (৫৫), নিকুঞ্জ দেবনাথ (৫০), গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ (৬০), জগন্দ্র দেবনাথ (৬০) ও বললেন জগদা বালা দেবীর (৭২) মত একই কথাতাছাড়াও চান্দিনার কুটুম্বপুরের সাইতলা গ্রামের গৌরাঙ্গ দেবনাথের সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্বাধীনতার পরে বহুবার খাদি উন্নয়নের জন্য পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছেবহু সাংবাদিকের পদচারণা ঘটেছে আমাদের বাড়ীসহ এ গ্রামে, কিন্তু পরিবর্তন আমাদের ভাগ্যে জোটেনিসরকার তাঁত শিল্পের উন্নয়নে কিছুই করেনিমহাত্না গান্ধীর বিদেশী কাপড় বর্জনের আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট কুমিল্লার এই খাদি শিল্পটি বর্তমানে বিলুপ্তির পথেচান্দিনা, মুরাদনগর ঘুরে আরো জানা যায়, পূর্বে বহু পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে ১৫/১৬টি পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িতঅন্যরা ভিন্ন পেশায় চলে গেলেও নতুনদের কেউ এ পেশার সাথে জড়িত হচ্ছে নাকুমিল্লা শহরের খাদি বস্ত্রের ব্যবসার সাথে জড়িত সূত্র জানায়, জেলা শহরের প্রতিষ্ঠিত খাদি ব্যবসায়ীরা নরসিংদীর পছন্দমত কাপড় তৈরি করে সরবরাহ করে থাকেনএছাড়াও ঢাকা থেকে অনেকে এখানকার তাঁতীদেরকে সুতা সরবরাহ করে নিজেদের পছন্দমত কাপড় তৈরি করে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়িক সফলতা পেলেও তাঁতী কিংবা তাঁতের মালিকদের অর্থনৈতিক মুক্তি মিলছে নাতাদের কোন পরিবর্তন হয়নিএ অবস্থায় কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী আদি খাঁদি শিল্পটি এখন প্রায় বিলুপ্ত


শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: