16 July 2017

কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের বেহাল দশা


কয়েক মাস ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন এই সড়কে চলাচল করা হাজারো গাড়ির যাত্রীরা। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে সময় নষ্ট, যানজট আর গাড়ি বিকল হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ৭২ কিলোমিটারের অধিকাংশই ভাঙা।
যাত্রী ও পরিবহন চালকরা জানান, কুমিল্লা পদুয়ার বাজারের পর থেকে ভাঙা শুরু। সেখানে কিছু ইট ফেলায় তা বিষফোঁড়ার মতো ফুলে উঠেছে। সেখানে গাড়ি চলছে হেলেদুলে। ধীর গতিতে গাড়ি চলায় সেখানে প্রায় যানজট লাগছে। বেশি ভয়াবহ অবস্থা বাগমারা বাজার ও লাকসাম জংশনের উত্তর দিকে। সেখানে গর্তে গাড়ির চাকা আটকে যাচ্ছে। ভাঙার কারণে বাগমারা বাজারে প্রতিনিয়ত যানজট লাগছে। এছাড়া লালমাই, হরিশ্চর, লাকসাম বাইপাস,খিলা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাসার, সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ থানা এলাকাসহ মাইজদীর বিভিন্ন অংশে ভাঙা রয়েছে।  
লাকসামের পোলাইয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজন বাসযাত্রী জানান, ২-৩ মাস ধরে এ সড়কে স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত করা যায় না। বাস চলাচলের পর শরীরের গিটে গিটে ব্যথা হয়। মনে হয় চিকুনগুনিয়ার ব্যথা।
উপকূল বাস সার্ভিসের চালক মামুনুর রশিদ জানান, সড়ক ভাঙা হওয়ায় ঘন ঘন গাড়ি বিকল হচ্ছে। ভাঙা অংশ এলে যাত্রীরা ঝাঁকুনির ভয়ে বাস থেকে নেমে যেতে চান। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ বলেন, কয়েক মাস ধরে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। আমাদের গাড়ি গুলো গর্তে পড়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে। যানজট লাগছে, যাত্রীরা কষ্ট পাচ্ছেন। সড়কটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
সড়ক ও জনপদ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, আমরা কিছু অংশে ইট দিয়ে সংস্কার করেছি। এসড়কে ৫-৬মাসের মধ্যে ফোরলেনের কাজ শুরুর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে আমরা পদক্ষেপ নেবো।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: