29 June 2017

কুমিল্লার দর্শনীয় স্থানগুলোতে মানুষের ভীড়


দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান কুমিল্লা ময়নামতি শালবন বিহার। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে দূর-দুরান্ত থেকে বেড়াতে আসা মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন কুমিল্লার গর্বের এই দর্শনীয় স্থানে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসবমুখর পরিবেশে গত সোমবার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। এই উৎসবকে ঘিরে বন্ধুবান্ধব আর পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে সাধারণ মানুষ ছুটে আসছেন কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। কুমিল্লা ময়নামতি শালবন বিহার ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) শাহ সুজা মসজিদ, ধর্মসাগর, রূপসাগর, বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ, রূপবানমুড়া কুটিলামুড়া, বার্ডসংলগ্ন জোড়কানন দীঘি, জগন্নাথ দীঘি, বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন, রামমালা পাঠাগার ও নাটমন্দির, লাকসাম রোড, নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি, সঙ্গীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের বাড়ি, রাজেশপুর বন বিভাগের পিকনিক স্পট, গোমতি নদী, কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী বেগম নার্গিসের বাড়ি, নবাব ফয়জুন্নেছার পৈতৃক বাড়ি ও কুমিল্লা চিড়িয়াখানাসহ অর্ধশতাধিক দর্শনীয় স্থান হাজার হাজার পর্যটকদের ভিড়ে হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
কুমিল্লার এইসব দর্শনীয় স্থনে শুধু দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নয় বিদেশি দর্শনার্থীদের দেখা মিলেছে অনেক বিদেশী দর্শনার্থীদেরও। তাইতো ঈদের ছুটিতে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে কুমিল্লা শালবন বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বিনোদন স্থান গুলোতে। আবার কেউবা এসেছেন প্রিয়জনের সঙ্গে।
বাবা-মায়ের হাত ধরে ছেলে, ভাই বোন নিয়ে অনেকেই এসেছেন বিনোদনের জন্য।
ফেনী জেলা থেকে বেড়াতে আসা সুজন হোসেন বলেন, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সপরিবারে বেড়াতে এসেছি কুমিল্লা শালবন বিহারে। এসে দেখেছি শালবন বিহার শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি এখন বিশ্বের একটি ঐতিহাসিক স্থান। এই স্থানটিকে একনজর দেখতে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসে এখানে। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি আলী আকবর মাসুম বলেন, ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বিহারসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অন্য জেলার মানুষও কুমিল্লায় সহজে আসতে পারেন। তবে কোটবাড়ি এলাকায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: