16 June 2017

বেড়িয়ে আসুন লাকসামের দর্শনীয় স্থান ও জমিদারি রাজমহল


শতবর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রাজনীতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে লাকসাম পরিচিত। অতীতের হোমনাবাদ ও মেহেরকুল পরগনার স্মৃতিবিজড়িত অমর কাহিনী ও মহাপুরুষ আধ্যাত্মিক পীর-আউলিয়ার আগমন ও কিছু স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে লাকসাম। লাকসামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত দেশের অন্যতম ডাকাতিয়া নদী। এশিয়ার মহীয়সী নারী ও নারী শিক্ষার অগ্রদূত ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ কর্তৃক নবাব উপাধিতে ভূষিত নবাব ফয়জুন্নেছার জন্মস্থান ও জমিদার বাড়ি। অতীতে গৌরব করার মতো যা ছিল বর্তমানে লাকসামে তাই আছে।

লাকসাম যেভাবে নামকরণঃ
অতীতের হোমনাবাদ এলাকার একটি অংশ লক্ষ্যস্যাম। স্যাম মানে বন্ধু। এ এলাকায় এক সময় ছিল লক্ষবন্ধুর বসবাস। লাটসাব ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের জমিদারি ছিল বেশি। অতীতের লক্ষ্যস্যাম থেকেই লাকসাম নামকরণের উত্পত্তি হয় এবং বর্তমানে লাকসাম উপজেলা।

লাকসাম এসে যা দেখবেনঃ
কত লাকসাম কত বাত্তি নামে খ্যাত লাকসাম এসে দেখবেন, দেখার সার্থক হবে প্রথমেই শতবর্ষের নির্মিত ঐতিহ্যবাহী লাকসাম রেলওয়ে জংশন। এ রেলওয়ে জংশনে প্রতিদিন শত শত লোক ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, চাঁদপুর ও নোয়াখালী ট্রেনে করে উঠানামা করছে। লাকসাম রেলওয়ে জংশনে বিভিন্নমুখী ট্রেনগুলো এসে থেমেই মানুষের পদভারে মুখরিত হয়। সব দৃশ্য রেলওয়ে জংশনের ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে দেখার মতো। পৌর শহরের পশ্চিমগাঁওতে ঐতিহ্যবাহী দেশের অন্যতম ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে এশিয়ার মহীয়সী নারী বাংলাদেশের খ্যাতিমান মহিলা নওয়াব ফয়েজুন্নেছা জমিদার বাড়ি, খান বাহাদুর বাড়ি, বাগিছা বাড়ি, ১০ গম্বুজ মসজিদ, নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ, নওয়াব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়; এছাড়া আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ হজরত গাজীউল হক সাহেবের মাজার শরীফ। যে মাজারে প্রতিদিন লোকজন এসে ভক্তি-শ্রদ্ধা প্রদান করছে। এ মাজারে কেউ মিলাদ পড়ায়। আবার কেউ পাশেই সুরম্য প্রাচীন কালে নির্মিত মসজিদে নামাজ আদায় করে। অতীত দিনের স্মৃতি দৌলতগঞ্জ জগন্নাথ মন্দির, এক সময়ে অতুল হাই বর্তমানে লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। লাকসামের শেষ প্রান্তে পশ্চিম চিতোষীতে নাটেশ্বরে বিরাট আকারের দীঘি ও প্রাচীন মসজিদ, লাকসামের বরইগাঁও আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহার কমপ্লেক্সসহ লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উহার পাশেই কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড ভবন, যা এখন পরিত্যক্ত, প্রথম শ্রেণীর লাকসাম পৌরসভা ভবন, গণপাঠাগার, গণমিলনায়তন, স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়, পূর্ব লাকসামে স্থাপিত আলতাফ অটোমেটিক রাইস মিল, নশরতপুরে ভাইয়া গ্রুপের অটোমেটিক রাইস মিল, থ্রি এ ও গোল্ড কিং সিগারেট ফ্যাক্টরি, মামুন বিড়ি, দিদার বিড়ি, রূপালী বিড়ি ফ্যাক্টরি, আজম খানের দেয়া লাকসাম স্টেডিয়াম, হিন্দু সমপ্রদায়ের পূজামণ্ডপের স্থান মুক্তকেশী কালীবাড়ী, ফতেপুরে আবুল খায়ের গ্রুপ নির্মিত আবুল বিড়ি ফ্যাক্টরি, রেলি ও সুপার কিং ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ভাইয়া গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সোহাগ মত্স্য বীজ উত্পাদন ও প্রজনন খামার, গাজীমুড়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রমুখ।

ঐতিহ্যবাহী ডাকাতিয়া নদীঃ
লাকসামের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে দেশের অন্যতম ডাকাতিয়া নদী। ডাকাতিয়া নদী ভারতের রঘুনন্দন পাহাড় থেকে উত্পত্তি হয়ে নিজ গতিতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উত্তর দিয়ে লাকসামে প্রবেশ করেছে। ডাকাতিয়া নদীর দৈর্ঘ্য ৭৫ কিমি, প্রস্থ ২৫০ ফুট। বর্তমান গড় গভীরতা ৪০ ফুট।

নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর নবাববাড়িঃ
এশিয়ার মহীয়সী নারী বাংলাদেশের গৌরব নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী। লাকসামের ডাকাতিয়া নদীর উত্তর তীরে খান বাহাদুর বাড়িতে নবাব ফয়জুন্নেছা জন্মগ্রহণ করেন। ফয়জুন্নেছার জন্ম ১৮৩৪ সালে। রূপজালাল নামক গ্রন্থ বাংলাভাষায় লিখিত মহিলাদের মধ্যে সর্বাগ্রে প্রকাশিত বই। মহিলা লেখিকাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন নবাব ফয়জুন্নেছা। সাহিত্যের ইতিহাসে এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত। নবাব ফয়জুন্নেছার রূপজালাল কাব্যগ্রন্থ তার স্বামী গাজী চৌধুরীর নামে উত্সর্গ করেছেন। ফয়জুন্নেছার পিতার নাম সৈয়দ আহম্মদ আলী চৌধুরী। তার মাতার নাম আরফান্নেছা চৌধুরানী। ভাইবোনদের মধ্যে ফয়জুন্নেছাই জমিদারি পরিচালনার প্রশিক্ষণ পান। হোমনাবাদ পরগনার বিরাট জমিদারি তিনি পরিচালনা করেন। ফয়জুন্নেছার গৃহশিক্ষক ছিলেন তাজ উদ্দিন। ১৯০৩ সালের অক্টোবর মাসে ১৩১০ বাংলা ২০ আশ্বিন নবাব ফয়জুন্নেছা ইন্তেকাল করেন। তার জমিদারির ১১টি কাচারির মধ্যে প্রত্যেকটির পাশে বিশুদ্ধ পানির জন্য পুকুর কাটান এবং মক্তব ও প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তিনি ইসলামী কায়দায় বোরকা পরে পালকিতে করে প্রত্যেকের সুখ-দুঃখ দেখতে গ্রামে গ্রামে যান। বালিকা বিদ্যালয় কালের সাক্ষ্যবহন করেছে।
নবাব বাড়ির বালিকা বিদ্যালয়টি কালক্রমে লাকসাম পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রূপ নিয়েছে। লাকসামের নবাব ফয়জুন্নেছা একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বাংলাদেশ তথা সমগ্র এশিয়া অতঃপর বিশ্বে তার নাম ছড়িয়ে রয়েছে। তার নাম গুণকীর্তন করে দেশের মানুষ ধন্য হচ্ছে।
সাহিত্যচর্চায় নবাব ফয়জুন্নেছার প্রতিভা দুনিয়ার মানুষ স্বীকার করেছে। এক তথ্যে জানা যায়, গাজি চৌধুরী প্রথমে বিয়ে করেন বেগম নজমুন্নেছাকে। সতীন যাতনায় অতিষ্ঠ হয়ে ফয়জুন্নেছা বাকশার গ্রামে অল্প কিছুদিন থেকে পরে লাকসামের পশ্চিমগাঁওতে স্থায়ী বসবাস করেন। শেষ বয়সে গাজী চৌধুরী দারুণ ব্যথা-বেদনায় কুমিল্লা শহরের মীর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশের গৌরব নবাব ফয়জুন্নেছার স্বামীর বাড়ি বরুড়া উপজেলার বাকশার গ্রামে। বর্তমানে ধ্বংসের প্রদীপ হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সৈয়দ এনায়েত উল হক চৌধুরী। নবাব ফয়জুন্নেছার দুই মেয়ের মধ্যে বদরুন্নেছা চৌধুরানীকে পশ্চিমগাঁওতে এবং সৈয়দা আসাদুন্নেছা চৌধুরানীকে বিয়ে দেন হবিগঞ্জ জেলার পইল জমিদার সৈয়দ ওয়াসেকুল হকের সঙ্গে। কুমিল্লা শহরে ১৮৭৩ সালে নবাব ফয়জুন্নেছা দুটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। শহরের পূর্ব প্রান্তে নাজুয়া দীঘির পাড়ে প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং দ্বিতীয়টি বাদুরতলাতে উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নবাব ফয়জুন্নেছার বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের দুই বছর পর স্যার সৈয়দ আহম্মদ আলী গড়ে ১৮৭৫ সালে প্রথম মুসলিম কলেজ অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ পরবর্তী সময়ে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় খ্যাত স্থাপন করেন।
নবাব ফয়জুন্নেছা ছিলেন নারী শিক্ষার অগ্রনায়িকা। অন্ধকার যুগের আলোর দিশারী মহীয়সী নারীর স্মৃতি এখন বহন করছে। নবাব ফয়জুন্নেছা মক্কা শরীফে মুসাফির খানা ও মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন এবং মাওলাতিয়া মাদ্রাসা স্থাপনে তিনি সাহায্য করেন। ১৮৯৯ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্নে নবাব ফয়েজুন্নেছা প্রচুর অর্থ সাহায্য করেন। নবাব ফয়েজুন্নেছা রচিত কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে। মিশ্র ভাষারীতির লেখিকা গদ্য ও পদ্যে তার গ্রন্থ রচনা করেন। রূপজালালের কাহিনী আদিভৌতি কথায় পরিপূর্ণ। লিখিকা ভাষা রীতিতে তত্সম শব্দের ওপর বিশেষভাবে দুর্বলতা প্রকাশ করেন। তার রচনায় মধ্যযুগীয় ও পুঁথি সাহিত্যের প্রভাব ফুটে ওঠে শীমাইল রাজপুত্র জালাল ও রাক্ষস পালিতা সাধুপুত্রী রূপভানুকে কেন্দ্র করে। লাকসামে নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ির পাশে ১০ গম্বুজ মসজিদের পাশে দক্ষিণ পারিবারিক কবরে স্থান নবাব ফয়জুন্নেছা আত্মার নশ্বরদেহ চিরদিনের জন্য সমাহিত রয়েছে। নবাব ফয়েজুন্নেছা আর নেই, আছে তার স্মৃতি, যে স্মৃতি দেখতে এখনও বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন প্রচুর দর্শনাথী। কিন্তু নবাববাড়ির নবাব ভবন রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে আজ ধ্বংস ও বিলীন হওয়ার পথে। দীর্ঘ বছর থেকে এর সংস্কার নেই। নবাব ফয়জুন্নেছার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি ওয়াকেফ দান করা। বর্তমানে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। নবাব বাড়ি ও সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য বংশানুসারে খাদেমের দায়িত্বে রয়েছে সৈয়দ মাসুদুল হক চৌধুরী এবং সৈয়দ কামরুল হক চৌধুরী। বাংলাদেশের গৌরব নারী মহীয়সী নবাব ফয়জুন্নেছার নবাববাড়ি সংস্কার করে সরকারিভাবে হেফাজতে নেয়া প্রয়োজন।

পীর আউলিয়ার মাজারঃ
লাকসামে মহাপুরুষ আধ্যাত্মিক পীর আউলিয়ার আগমন ও স্মৃতি মাজার শরিফ মহাকালের সাক্ষ্য বহন করছে। স্মৃতি মাজার শরীফ আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ পৌরশহর গাজীমুড়া হজরত শাহ সৈয়দ করিম সাহেবের মাজার, পশ্চিমগাঁও হজরত সৈয়দ গাজীউল হক সাহেবের মাজার, কালীয়াপুর হজরত কাজীমুদ্দিন কালীয়াপুরী, দক্ষিণ চাঁদপুরে হজরত পীর আলী আশ্রাফ চাঁদপুরী, রাজাপুরে হজরত পীর শাহ ওয়ালী উল্যাহ রাজপুরী, শাকরা হজরত পীর রজ্জব আলী শাকরাপুরী, পুলইয়া হজরত আবুল বারাকাত, (নোয়াখালী হুজুর), ভোগই হজরত শাহ সুফি সৈয়দ আমির উল্যাহ, শরীফপুর হজরত শাহ শরীফ (রা.), পশ্চিমগাঁও মরহুম অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ, পোমগাঁও হাবীবউল্লা নূরী, পশ্চিমগাঁও মুড়ি দরগা নামক আধ্যাত্মিক মহাপুরুষের মাজার মাজার রয়েছে। লাকসামে স্মৃতি থাকা পীর আউলিয়ারা আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডে সমগ্র দেশে তথা নিখিল ভারতেও বহু ভক্ত তৈরি করে প্রসিদ্ধ লাভ এবং ধর্ম প্রচারসহ লাকসাম অঞ্চলকে আলোকিত করেন। প্রত্যেক বছর এসব মাজারে বিরাট ওরস অনুষ্ঠিত হয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ জিকিরসহ নামাজ আদায় করতে আসে।

যোগাযোগঃ
লাকসাম দেশের বৃহত্ উপজেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত রয়েছে। লাকসাম আসতে হলে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে সুপার ডিলাক্স বিরতিহীন তিশা বাসে বাইপাস লাকসাম আসতে মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার পথ এবং সায়েদাবাদ থেকে আল বারাকা এক্সপ্রেস, ঢাকা এক্সপ্রেস, ইকোনো এক্সপ্রেস, শাহী এক্সপ্রেস, জননী এক্সপ্রেস, যাত্রীসেবা এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন বাস রয়েছে। রেল পথে ঢাকার কমলাপুর চট্টগ্রাম, সিলেট, চাঁদপুর, নোয়াখালী, থেকে আসা ট্রেনে আন্তনগর লাকসাম রেলওয়ে জংশন আসা সহজ। কুমিল্লা সদর থেকে, নোয়াখালী, মাইজদী, লক্ষ্মীপুর জেলা সদর থেকে ডিলাক্স বাস লাকসাম আসা-যাওয়া করে থাকে এবং সময় নেয় খুবই কম।

থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাঃ
লাকসামে দর্শনীয় স্পটগুলোর বেশির ভাগই পৌর এলাকায়। তাই থাকা ও খাওয়ার জন্য চিন্তা করতে হবে না। লাকসাম বাজার নিরালা হোটেল, আজমীর হোটেল, হোটেল নিউ আজমীর, হোটেল ক্যাফে নুর, হোটেল সোনার বাংলা, হোটেল হানিফ, হোটেল নুরজাহান, আরাফাত হোটেল, লাকসাম হোটেল, হোটেল নূরে-মদিনা, শেরাটন হোটেল, ভাই ভাই হোটেল, সোহাগ হোটেল, খাজা হোটেল এবং জংশন এলাকায় হোটেল গাউছিয়া, হোটেল ক্যাফে, হোটেল আজমীরসহ বেশ কয়েকটি উন্নতমানের খাবার হোটেল রয়েছে। এ ছাড়া থাকার জন্য জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, আবাসিক হোটেল লাকসাম প্লাজা, বন্ধু আবাসিক হোটেল, হোটেল ড্রিম আবাসিক, হোটেল নূর আবাসিক, জনতা আবাসিক হোটেল, সুমন রেস্ট হাউসসহ বেশ কয়েকটি থাকার হোটেল রয়েছে। থাকার ইচ্ছা না থাকলে রাতেই ফিরে যেতে পারেন। যাতায়াতের জন্য সারারাত বাস ও ট্রেন আছে।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: