19 May 2017

কুমিল্লা মহানগরে এমপি বাহার সভাপতি ও রিফাত সাধারন সম্পাদক


জন্মদিনে উপহার পেতে যাচ্ছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। আজ শুক্রবার ৬৩ তম জন্মদিনে এসে  তাঁর ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হতে যাচ্ছেন তিনি। সেই সাথে দীর্ঘ ১৭ বছর পর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক পদে ফিরছেন তিনি। অপর দিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামীলীগ নেতা আরফানুল হক রিফাত হতে যাচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক। 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমের বরাদ দিয়ে এমন একটি খবর চাউর হয়েছে কুমিল্লা জুড়ে। এ ব্যাপারে এনামুল হক শামীম ও অপর সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। 
জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আগে কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।


সম্ভাব্য মহানগর কমিটিতে আরো যাদের নাম থাকতে পারেঃ 
সহসভাপতি - আনজুম সুলতানা সীমা, আলহাজ্ব ওমর ফারুক
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক - আতিক উল্লাহ খোকন, শাহীনুল ইসলাম শাহীন
সাংগঠনিক সম্পাদক - চিত্ত রঞ্জন ভৌমিক, আবদুল হাই বাবলু
দপ্তর সম্পাদক - শিব প্রসাদ রায়
সহকারি দপ্তর সম্পাদক - দুলাল মাহমুদ
প্রচার সম্পাদক - জহিরুল কামাল
সহপ্রচার সম্পাদক - হাবীবুর সায়েরীন সায়ের  
নির্বাহী সদস্য - মোখলেছুর রহমান চৌধুরী
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক - জমীর উদ্দিন খান জম্পী

সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটির বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়ে থাকতে পারে। আজ শুক্রবার বা আগামীকাল শনিবার কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। কমিটি হয়েছে কি, হয়নি এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে সভাপতি পদে সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আরফানুল হক রিফাতের নাম ছড়িয়ে পড়ার পর হাজী বাহার সমর্থিত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফেসবুকে এমপি বাহারের জামাতা সাইফুল ইসলাম রনি (সাইফ রনি) ও এমপি বাহার সমর্থক সাবেক ছাত্রনেতা শাহ মাহবুব রাজিব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে এমপি বাহার সমর্থকরা অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
সূত্রঃ কুমিল্লার কাগজ

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: