22 April 2017

কুমিল্লার কৃতি সন্তান কিংবদন্তি শিল্পী লাকী আখন্দ আর নেই

লাকী আখন্দ

বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ, আধুনিক বাংলা গানের অবিস্মরনীয় পরিচালক, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ(৬১) আর নেই। তিনি শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় আরমানিটোলার নিজ বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী লাকি আখন্দ কুমিল্লার সন্তান হলেও পরিচিতি পেয়েছেন ঢাকা’র।
লাকী আখন্দ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত আখন্দ পরিবারে সঙ্গীতপ্রেমী এ,কে, আব্দুল হক আখন্দ ও নূরজাহান বেগম আখন্দ’র দ্বিতীয় সন্তান। তিনি ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহন করেন। পিতা আব্দুল হক আখন্দ জনসংযোগ অধিদপ্তরের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা ছিলেন। পিতার চাকরি করার সুবাদে পুরানো ঢাকার আরমানিটোলার আগামসি লেনের বাড়িতে কেটেছে তার সারা জীবন।
মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়িতে আসতেন জমি জমার হিসেব কিাশ এবং স্বজনদের দাওয়াত রক্ষায়। বাড়ির পাশের গোমতী নদীতে মাছ ধরতেন। গ্রামের বাড়িতে এ গর্বিত শিল্পীর আগমনের সংবাদে এলাকার লোকজন ছুটে আসতেন। বায়না ধরতেন গানের। তিনি বাড়ির উঠুনে মাদুর বিছিয়ে রাত জেগে ক্লান্তিহীন ভাবে গান গেয়ে সবার মনোরঞ্জন করতেন। গ্রামের ছেলেদের আয়োজনে পালাগান, যাত্রাগান তিনি সবার সাথে রাত জেগে উপভোগ করতেন। তার পরও প্রচারবিমূখ এ শিল্পীকে দেবীদ্বার কেন কুমিল্লার অনেকেই জানেননা, সে কুমিল্লার দেবীদ্বারের সন্তান। এর দায় ভার যেমন নিজ পরিবারের তেমনি কুমিল্লা ও দেবীদ্বারের রাজনীতিক, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে পেটের পীড়া নিয়ে মেডিকেল চেকআপ করাতে গেলে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তখন বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা তাকে জানান, তিনি ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর শিল্পীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডে। ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। সেখানে কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছিল তার। একই বছরের জুনে আবারও থেরাপির জন্য ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরে আর তার সেখানে যাওয়া হয়ে উঠেনি।

অসুস্থতার প্রথম থেকেই লাকী আখন্দ ও তার পরিবার কোনও রকম আর্থিক সহযোগিতা গ্রহণের বিষয়ে বেশ কঠোর ছিলেন। দেশের শীর্ষ শিল্পীদের উদ্যোগে সহযোগিতা করতে চাইলেও বিনয়ের সঙ্গে লাকী আখন্দ সেটি গ্রহণে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। অভিমানী এই মানুষটি অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় নিজের চিকিৎসা চালাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না। তবে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এই সংগীতকারের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় ভালোবাসা হিসেবে সেটি তিনি গ্রহণ করেছেন স্বাচ্ছন্দে। গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাসায় গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। তার মৃত্যু সংবাদে গোটা দেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সুশীল সমাজ সহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সংস্কৃতিমনা পরিবারের ছেলে হিসেবে মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন। শিশুশিল্পী হিসেবে গান করেছেন বেতারে। তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। ১৪ বছর বয়সে এইচ,এম,ভি পাকিস্তানের সুরকার ছিলেন। ১৫ বছর বয়সে দশম শ্রেনীতে পড়াকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতে চলে যান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে পরিচিতি পান। লাকী আখন্দ ও তার ভাই হ্যাপী আখন্দ দুজনেই গিটারকে সঙ্গী করে তাদের কিশোরবেলা ও প্রথম তারুণ্যে মগ্ন ছিলেন। আগামসি লেনে তাদের পাশের বাড়িতেই ছিলেন আরেকটি সংস্কৃতিবান পরিবার। প্রতিবেশি শম্পা রেজা, রিনি রেজা, নিপা রেজা তিন বোনই ছিলেন অভিনয় ও সংগীতের জগতের অধিবাসী। দুই পরিবারের বন্ধুত্বও ছিল জমজমাট। বিশেষ করে প্রতিভাবান সংগীতশিল্পী শম্পারেজা, লাকী আখন্দ ও হ্যাপী আখন্দের বন্ধুত্ব ছিল সবচেয়ে গভীর। গানে গল্পে সৃজনশীলতায় কাটে তাদের তারুণ্যের সেই দিনগুলো। ১৯৬৯ সালে লাকী আখান্দ পাকিস্তানী আর্ট কাউন্সিল হতে “বাংলা আধুনিক গান” বিভাগে পদক লাভ করেন।
সঙ্গীতপ্রেমী পিতা-মাতার অনুপ্রেঢ়নায় লাকী আখন্দ শিশু বয়সেই সঙ্গীতের বরপুত্র খ্যাতী লাভ করেন। যে গানেই সুর করেছেন, সেই গানটিই কালজয়ী হয়েছে। সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের গানের জগতে সত্যিকারভাবে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে আসেন লাকী আখন্দ। সেই সময়ের অশান্ত তারুণ্যের প্রেম, বেদনা, হতাশা ও ভালোবাসাকে তিনি যেভাবে সুরে উপস্থাপন করেছিলেন, তা অনন্য। লাকি আখন্দ ১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। এই চলচ্চিত্রে হ্যাপী আখন্দের পূর্বের অ্যালবামের “আবার এলো যে সন্ধ্যা” গানটি ব্যবহৃত হয় এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে বের হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকী আখন্দ’। এই অ্যালবামের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গান হল “আগে যদি জানতাম”, “আমায় ডেকোনা”, “মামুনিয়া”, “এই নীল মনিহার”, ও “হৃদয় আমার” যে গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেললেও ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের অকাল মৃত্যুর পর দারুনভাবে মুষড়ে পড়েন লাকি আখন্দ, সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটা স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান এই গুণী শিল্পী। পরের বছর আখন্দ সামিনা চৌধুরীর একক অ্যালবাম আমায় ডেকোনার সঙ্গীতায়োজন করেন। এছাড়া তিনি ব্যান্ডদল আর্কের “হৃদয়ের দুর্দিনে যাচ্ছে খরা” গানের সুর করেন। ২০০০ সালের পর তিনি আরেকটি মিশ্র অ্যালবাম তোমার অরণ্যের সুর ও সঙ্গীতায়োজন করে। এতে লাকী আখান্দের কণ্ঠে গাওয়া যা ৩টি গানসহ বাপ্পা মজুমদার, ফাহমিদা নবী, ও নিপুর কণ্ঠে ১০টি গান ছিল। তিনি এই অ্যালবামে সমকালীন তাল, লোক গানের তাল ও তার প্রিয় স্পেনীয় গানের তাল ব্যবহার করেন।
মাঝখানে প্রায় এক দশক নীরব থেকে লাকী আখন্দ ১৯৯৮-এ ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও ফিরে আসেন শ্রোতাদের মাঝে। কুমার বিশ্বজিৎ’র কন্ঠে ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, আইয়ুব বাচ্চু’র ‘কি করে বললে তুমি’, হাসান’র ‘হৃদয়ের দুর্দিনে যাচ্ছে খরা’র মতো কালজয়ী গানের সুরারোপ করেন তিনি। ‘লিখতে পারিনা কোন গান আজ তুমি ছাড়া’ ব্যান্ডতারকা জেমস’র এই বিখ্যাত গানটির সুর সংযোজন ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন লাকী আখন্দ। তিনি ব্যান্ড দল হ্যাপী টাচ’র সদস্য। তার সংগীতায়জনে করা বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে এই নীল মনিহার, আবার এলো যে সন্ধ্যা এবং আমায় ডেকো না। তিনি বাংলাদেশী জাতীয় রেডিও নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ বেতার এর পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কাজ করেছেন।
বিতৃষ্ণা জীবনে আমার ছিল ব্যান্ড ও আধুনিক গানের মিশ্র অ্যালবাম। এতে সেসময়ের ছয়জন জনপ্রিয় গায়ক, মাহফুজ আনাম জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, হাসান, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, ও সামিনা চৌধুরী কণ্ঠ দেন। একই বছর তিনি সামিনা চৌধুরীকে নিয়ে আনন্দ চোখ নামে একটি দ্বৈত অ্যালবাম প্রকাশ করেন। গোলাম মোরশেদের গীতে এবং আখান্দের সঙ্গীতায়োজনে অ্যালবামটি প্রকাশ করে সাউন্ডটেক। এতে ১২টি গান ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান ছিল “কাল কি যে দিন ছিল”, “বলো কে পারে” ও “এই বরষা রাতে”।
‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘কে বাঁশি বাজায়রে’, ‘স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে’, ‘নীল নীল শাড়ি পড়ে’, ‘পাহাড়ি ঝর্ণা’, ‘হঠাৎ করে বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য গানের সুরারোপ ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন বাংলা সঙ্গীতের এই কিংবদন্তী শিল্পী। এরপর টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রামে তাকে দেখা গেছে, মেয়ে মাম্মিন্তিকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উত্তরসূরী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন দর্শকদের সঙ্গে। এই নীল মনিহার, আগে যদি জানতাম, নীলা, আমায় ডেকো না এমনি অসংখ্য গান ও সুরের মায়াজাল তিনি সৃষ্টি করেছেন। ১৯৮০ সালে সালাহউদ্দীন জাকী পরিচালিত ‘ঘুড্ডি’ ছবির সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে তিনি পালটে দিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের গানের ধারা। ‘ঘুড্ডি’ ছবির ‘ঘুম ঘুম চোখে’, ‘সখী চল না’, ‘যেমন নদীর বুকে নাও ভাইসা চলে’ এবং ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এই গানগুলোর কথা লিখেছিলেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। কণ্ঠ দিয়েছিলেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ, হ্যাপী আখন্দ, শিমূল ইউসুফ, লিনু বিল্লাহ। বিশেষ করে হ্যাপী আখন্দের কণ্ঠে আবার এলো যে সন্ধ্যা গানটি এখন পর্যন্ত বাংলা চলচ্চিত্রের চিরসবুজ গানের তালিকায় রয়েছে।
শুধু চলচ্চিত্রের গানে নয়, স্টেজ শো থেকে শুরু করে টিভি অনুষ্ঠান প্রতিটিতে তিনি শ্রোতাকে দিয়েছেন নতুনত্বের স্বাদ। বাংলা গানের ধারায় প্রথম আধুনিক মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করেন তিনি। পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের সংগীতের ধারা ভেঙে তৈরি করেন ফিউশন। আশির দশকে লাকী আখন্দ ও হ্যাপী আখন্দ জুটি দারুণ সব গান উপহার দেন শ্রোতাদের। লাকী আখন্দ মূলত ছিলেন সুরকার ও গীতিকার। আর সেই গানের শিল্পী ছিলেন হ্যাপী আখন্দ। আশির দশকে সুবর্ণা মুস্তাফা অভিনীত টিভি নাটকে লাকী আখন্দের গান এই নীল মনি দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে দারুণ সাড়া জাগায়। ১৯৮৪ সালে আত্মপ্রকাশ করে লাকী আখন্দের প্রথম একক অ্যালবাম। অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল সারগামের ব্যানারে। এই অ্যালবামের ‘আমায় ডেকো না’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘মামনিয়া’ ‘এই নীল মনিহার’, ‘সুমনা নামের মেয়েটি’ ‘রূপসী নীল‘ গানগুলো ছিল দুর্দান্ত জনপ্রিয়। তিনি তার সংগীতায়োজনে ড্রাম, ব্যাঞ্জো, ইত্যাদি যন্ত্র ব্যবহার করে পাশ্চাত্যের পপ মিউজিকের আমেজ নিয়ে আাসেন।
১৯৭৫ সালে লাকী আখান্দ তাঁর ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের একটি অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজনই করেননি তিনি একাধারে আধুনিক গান, সফট-মেলোডি, মেলো-রক, হার্ড-রক, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক সমাদৃত ছিলেন। তার অ্যালবামের তালিকা,-লাকী আখন্দ (১৯৮৪), পরিচয় কবে হবে (১৯৯৮), বিতৃষ্ণা জীবনে আমার (১৯৯৮), আনন্দ চোখ (১৯৯৯), আমায় ডেকোনা (১৯৯৯), দেখা হবে বন্ধু (১৯৯৯), তোমার অরণ্যে (২০০১) উল্লেখযোগ্য।
লাকি আখন্দের গোটা পরিবারই সঙ্গীত প্রেমী ছিলেন। ৪ ভাই সেলি আখন্দ, লাকি আখন্দ, জলি আখন্দ এবং হ্যাপী আখন্দ ও এক মাত্র বোন জেসমিন আখন্দ। লাকি আখন্দের ৪ ভাই-ই পরপাড়ে। বেঁচে আছেন এক মাত্র বোন জেসমিন আখন্দ, (প্রথম স্ত্রী নারগিস আখন্দের সাথে ২০০৮ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার গর্ভের) এক মাত্র কণ্যা সঙ্গীত শিল্পী মাম্মিন্তি(২২) ও (দ্বিতীয়) স্ত্রী মরিয়ম আখন্দ এবং তার গর্ভের সাড়ে ৩ বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান সভ্যতারা আখন্দ।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: