08 April 2017

কুবি ক্যাম্পাসসংলগ্ন খাবার-পরিবেশ নোংরা, তবু দাম চড়া


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিভিন্ন দোকানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এসব খাবার চড়া দামে কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।  

একাধিক শিক্ষার্থীর দাবি, ক্যাম্পাসসংলগ্ন খাবারের দোকানগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সকালের নাশতাসহ দুপুর ও রাতের খাবার। নোংরা পরিবেশে সরবরাহ করা এসব খাবারের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও পার্শ্ববর্তী মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। 
কুবি ক্যাম্পাসের ভেতরে খাবারের কোনো দোকান নেই। শিক্ষার্থীরা বাইরে থাকা খাবারের দোকানেই নাশতাসহ অন্য খাবার খেয়ে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে আল-মদিনা, বিএফজি, মামা হোটেল ও দুলু মিয়ার হোটেল ঘুরে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে রান্না করা হচ্ছে ভাতসহ অন্য খাবার। তিনটি হোটেলের পাশ দিয়েই গেছে ময়লার নর্দমা। খাবারের ওপর বসছে মশা-মাছি।  
দোকানি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্যাম্পাসের খাবারের দোকানগুলোতে সিন্ডিকেট করে সকালের নাশতার সঙ্গে ভাজি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা, গরুর মাংস দুই টুকরা (সিঙ্গেল) ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির মাংস প্রতি পিস ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ৪০ টাকা। এ ছাড়া মাংসবিহীন তেহারি রাখা হচ্ছে ৩০ টাকা। 
কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, অনেক সময় বাসি তেহারি গরম করে বিক্রি করেন দোকানিরা। আর মাসের শেষের কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং বন্ধ থাকলে দোকানগুলোতে খাবারের দাম দ্বিগুণ রাখা হয়।
ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত হোটেলে নিয়মিত খাবার খান বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মুনিম হাসান ভূঁইয়া অনিক। তিনি বলেন, ‘খাবার হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। দামও রাখা হয় অনেক বেশি। কিন্তু বাধ্য হয়ে আমাদের সেখানে খাবার খেতে হয়।’  
স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দোকানগুলোতে খাবারের দাম বেশি রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসের ভেতর নতুন করে খাবারের দোকান স্থাপনেরও দাবি জানান তিনি।   
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সরবরাহ বা দাম বেশি রাখার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আমরা শিগগিরই ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করব। প্রয়োজন হলে জরিমানা ও দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
  
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুপালী মণ্ডল বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর খাবার ন্যায্যমূল্যে পাওয়া ভোক্তাদের অধিকার। আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এর ব্যত্যয় হলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: