07 March 2017

কুমিল্লার নিমসার বাজারে ওভারব্রিজ নির্মাণ দাবি


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার বাজার এলাকায় ওভারব্রিজ না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কের এই অংশে বাইপাস থাকায় পারাপারের ঝুঁকিও অন্য অংশের চেয়ে অনেক বেশি। স্থানীয় অধিবাসী, বাজারের ব্যবসায়ী ও ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়। মহাসড়কের এই পয়েন্টে একটি ওভারব্রিজ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজির পাইকারি বাজার হিসেবে খ্যাত। এই বাজার ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল জনপদ। বাজারের ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে একটি কলেজ, একটি বালিকা বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাজারে আরও রয়েছে ৫টি ব্যাংকসহ কয়েকটি এনিজওর শাখা অফিস। এ ছাড়া প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকযোগে এই বাজারে আসে সবজির চালান। এ উপলক্ষে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। সড়কের বাজার অংশে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে প্রতিদিনই ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিককালে বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী ও বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় নিহত হয়েছে। 

ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মামুন মিয়া মজুমদার গতকাল সমকালকে বলেন, হাইওয়েতে দ্রুতগতিতে যান চলাচলের কারণে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এখানে একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। নিমসার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হক জানান, শিক্ষার্থীরা রাস্তা পারাপার হতে ভয় পায়। নিমসার বাজারের সবজি ব্যবসায়ী হাজি হুমায়ূন কবির মেম্বার বলেন, প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ এই বাজারে যাওয়া-আসা করে। বাজারের মধ্যে দুটি সড়ক থাকায় পারাপারের সময় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। নিমসার মডার্ন স্কুলের চেয়ারম্যান ডা. টিপু সুলতান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীরা একা রাস্তা পারাপার হতে পারছে না। অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। এ এলাকায় একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
সুত্রঃ সমকাল

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: