ঠিক একটি বছর আগে এই রাতেই তনুকে ধর্ষণের পর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। একটু উচু জায়গায় জঙ্গল ও গাছগাছালির মধ্যে পড়েছিল সোহাগী জাহান তনু’র রক্তাক্ত নিথর দেহ। গাছের তলায় ওর মাথা দক্ষিণ দিকে আর পা উত্তর দিকে। মাথার নিচটা থেঁতলানো আর পুরো মুখে রক্ত আর আঁচড়ের দাগ।
দিনটি ছিল রোববার। সন্ধ্যা থেকে রাত, তবুও তনু টিউশনি থেকে বাসায় আসছে না। বাবা ইয়ার হোসেন অফিস থেকে বাসায় ফিরে শোনেন তনু এখনো বাসায় ফিরেনি। কোথায় খুঁজতে যাবে তনুকে? এদিক ওদিক ছোটাছুটি, অন্ধকার ঘিরে ফেলছে চারদিক, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন টর্চ লাইট নিয়ে খুঁজতে থাকেন। সামনে একটি পুরাতন কালভার্ট, লাইট পরলো তনুর জুতাতে, তখন বুঝে গেলেন তার মেয়ের সাথে বড় কিছু ঘটে গেছে। একটু ডানে চোখ পড়তেই দেখেন তনুর মোবাইল। সামনে খুঁজতে খুঁজতে পাওয়া গেলা তনুর নিথর দেহ। এমন ভাবেই ঘটনার বর্ননা দেন তনু বাবা।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে দুইটা টিউশনি করত। সাড়ে চারটার দিকে যখন বেরোত, ওর মা আনোয়ারা বেগম এগিয়ে দিত। ফেরার পথেও ওর মা কিছু দূর গিয়ে নিয়ে আসত। ওই দিন তনু ওর মাকে বলেছিল, সে একাই আসতে পারবে। কিন্ত আমার মা আর ফিরে আসেনি।
বছর ঘুরে সেই দিন আবার ফিরে আসলেও তনু হত্যার কোন রহস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশবাসী আশা ছেড়ে দিলেও এখনও বিচারের অপেক্ষায় তনু পরিবার।
- জাগো কুমিল্লা
- জাগো কুমিল্লা
0 facebook: