নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মৃত্যুর পূর্বে যৌন সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছে ময়নাতদন্তকারী দল। তনু দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তারা তদন্ত সংস্থাকে পরামর্শ দিয়ে বলেছে পারিপাশ্বিক প্রমাণ বিবেচনা করে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে হবে।
নিহত তনুর বহুল আলোচিত দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন রবিবার সকালে প্রদান করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা এটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে করা তনুর কাপড় ও শরীরের ডিএনএ প্রতিবেদন দেয়া না দেয়া নিয়ে সিআইডি ও ফরেনসিক বিভাগের মধ্যে চলেছিল নানা নাটকীয়তা ।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফরেনসিক বিভাগের একজন কর্মচারী কুমিল্লা পুলিশ ভবনে অবস্থিত সিআইডি কার্যালয়ে গিয়ে এ প্রতিবেদন দিয়ে আসে।
আদালতের নির্দেশে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তনুর শরীর ও কাপড়ের ডিএনএ প্রতিবেদন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের কাছে হস্তান্তর করে সিআইডি।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যু পূর্বে
উল্লেখ্য, ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয় সোহাগী জাহার তনুর মরদেহ। এ ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ২১ মার্চ প্রথম ময়ানাতদন্তে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্ট দেয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয় এবং আদালতের নির্দেশেই তনুর পরিহিত কাপড়চোপরসহ ৭টি বিষয়ের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
0 facebook: