07 December 2015

বরুড়া মুক্ত দিবস পালিত


বরুড়া প্রতিনিধিঃ বরুড়ায় ৭ ডিসেম্বর বরুড়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাড়াশী আক্রমণে পাক সেনারা তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে বরুড়া ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় বলে জানান তৎকালীন মুকিযোদ্ধা কমান্ডার বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন।
৭ ডিসেম্বর প্রত্যুষে মুক্তিযোদ্ধারা বরুড়াকে শত্রু মুক্ত ঘোষণা করেন। এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে একটি আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়।
র‌্যালিটি পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার সামছুল হক সর্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. লুৎফুন্নাহার নাজীম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সোবহান মজুমদার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. আবুল বাশার, মুক্তিযোদ্ধা মনোহর আলী, আবদুস সাত্তার এবং মো. শামছুল হক। র‌্যালিতে প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: