বিশেষ প্রতিবেদনঃ আমাদের অনেকেই হয়ত জানি না সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের কুমিল্লা জেলার রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। অষ্টাদশ শতাব্দীতে অর্থাৎ ১৮৬০ সালে “ত্রিপুরা জ্ঞান প্রকাশনী” নামে কুমিল্লা থেকে প্রথম একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপর ১৮৮৩ সালে সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা হিতৈষী”, ১৮৭৬ সালে পাক্ষিক “ত্রিপুরা”,১৮৯৩ সালে মাসিক “ঊষা”, ১৮৯৪ সালে মাসিক “হীরা”, এবং ঐ একই সালে সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা বিকাশ” প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষকালেই বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা থেকে মাসিক, পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে মোট ছয়টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে এই বিংশ শতাব্দীতে এসে কুমিল্লা জেলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যে কতটুকু অবদান রেখেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঐ সব পত্রিকার সবগুলোই যে খুব বেশি দিন স্থায়ি ছিল এমন নয়। তবে সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা হিতৈষী” ১৮৮৩ সালে মতান্তরে ১৮৯৬ সালে গুরুদয়াল সিংহের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশের পরে পুত্র কমনীয় কুমার সিংহ ও পুত্রের মৃত্যুর পর পুত্রবধু উর্মিলা সিংহ ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এটি চালিয়ে যান। সম্ভবত উর্মিলা সিংহই কুমিল্লা জেলার তথা সারা বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সম্পাদক। সে জন্যই কুমিল্লা জেলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঐতিহ্যের দাবিদার।
সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে কুমিল্লার ঐতিহ্য
বিশেষ প্রতিবেদনঃ আমাদের অনেকেই হয়ত জানি না সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের কুমিল্লা জেলার রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। অষ্টাদশ শতাব্দীতে অর্থাৎ ১৮৬০ সালে “ত্রিপুরা জ্ঞান প্রকাশনী” নামে কুমিল্লা থেকে প্রথম একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপর ১৮৮৩ সালে সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা হিতৈষী”, ১৮৭৬ সালে পাক্ষিক “ত্রিপুরা”,১৮৯৩ সালে মাসিক “ঊষা”, ১৮৯৪ সালে মাসিক “হীরা”, এবং ঐ একই সালে সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা বিকাশ” প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষকালেই বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা থেকে মাসিক, পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক মিলিয়ে মোট ছয়টি পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে এই বিংশ শতাব্দীতে এসে কুমিল্লা জেলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যে কতটুকু অবদান রেখেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ঐ সব পত্রিকার সবগুলোই যে খুব বেশি দিন স্থায়ি ছিল এমন নয়। তবে সাপ্তাহিক “ত্রিপুরা হিতৈষী” ১৮৮৩ সালে মতান্তরে ১৮৯৬ সালে গুরুদয়াল সিংহের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশের পরে পুত্র কমনীয় কুমার সিংহ ও পুত্রের মৃত্যুর পর পুত্রবধু উর্মিলা সিংহ ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এটি চালিয়ে যান। সম্ভবত উর্মিলা সিংহই কুমিল্লা জেলার তথা সারা বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সম্পাদক। সে জন্যই কুমিল্লা জেলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঐতিহ্যের দাবিদার।