09 October 2015

কুমিল্লা ক্যাবল টিভিতে হারবাল চিকিৎসার অশ্লীল বিজ্ঞাপন প্রচার


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লায় হারবাল আর নানা প্রকার কবিরাজি চিকিৎসার নামে চলছে অনিয়ম ও প্রতারণা। সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন উপজেলায় স্থানে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক হারবাল প্রতিষ্ঠান। 
এসব হারবাল প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অশ্লীল ভাষায় পত্রপত্রিকা, সিডির ক্যাসেট, ডিভিডির ক্যাসেট ও ক্যাবল টিভি চ্যানেল (ডিস) মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে বিজ্ঞাপন প্রচার এবং যেখানে সেখানে লিফলেট ছড়িয়ে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করছে। বড় বড় দালান ও বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের দেয়ালগুলোতেও চোখে পড়ে অশ্লীল ভাষায় মুদ্রিত সেসব লিফলেট। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এদিকে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। ফলে তাদের ব্যবসার পরিধি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিশেষ করে মাুনষের যৌন শিক্ষা সচেতনতা কম থাকাকেই তারা প্রতারণার প্রধান মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। ওষুধ খাওয়ার পর পরই বিভিন্ন রোগের ১শ’ ভাগ নিরাময়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আর এতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে রোগীরা। নাঙ্গলকোট পৌর বাজারসহ উপজেলার প্রধান প্রধান বাজারগুলোতে অর্ধশতাধিক হারবাল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 
অভিযোগ উঠেছে, হারবাল চিকিৎসার নামে এরা যৌন উত্তেজক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মূলত ভারতীয় গরুর ট্যাবলেট ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটগুলো করে হালুয়া বানিয়ে হারবাল ওষুধ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। হারবাল প্রতিষ্ঠানের মালিক ও চিকিৎসকরা রোগীদের আকৃষ্ট করতে নিজেরাই ওষুধের বাহারী নাম তৈরি করে। বাহারী আর ইসলামী কায়দার নামে দেখে রোগীরাও সেসব হারবাল ওষুধের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। হারবাল প্রতিষ্ঠানগুলো এত অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সাধারণ রোগিদের সাথে প্রতারণা করে গেলেও এখনো পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়েনি। প্রশাসনিক কোনো বাধা-বিপত্তি না থাকায় হারবাল ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ড্রাগ লাইসেন্সের আড়ালে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে বিকিকিনি করছে। আবার অনেকের সঠিক ড্রাগ লাইসেন্সও নেই।
এসব হারবাল প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে সিডি ক্যাসেট, ডিভিডি ক্যাসেট ও ক্যাবল অপারেটরদের সাথে চুক্তি ভিত্তিক জেলার সবকটি ক্যাবল টিভি (ডিস) চ্যালেনে রোগ নিরাময়ে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন ব্যক্তিমহল।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: