ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল
ইউনিয়নের নাগাইস বাজারের সংযোগ সড়কটি ছোট
নাগাইস, কালাম কান্দি, চৌব্বাস ও দেউসের একমাত্র
সড়কটি গত কয়েক মাসের লাগাতার বৃষ্টির করনে ও
দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সংস্কার না করায় প্রায় ৪/৫ টি
গ্রামের মানুষের চলাচলের প্রায় ৫ কিঃ মিঃ সড়টি
চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নাগাইস বঙ্গবন্ধু আদর্শ
কলেজ, ছোট নাগাইস হাফিজিয়া মাদ্রাসা, রাজ্জাক
পীর সাহেবের মাদ্রাসা, নাগাইস বাজার সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট নাগাইস সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়, চৌব্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌব্বাস
জাহানারা উচ্চ বিদ্যালয়, নাগাইস জাহিদুল হোসেন উচ্চ
বিদ্যালয় সহ তিনটি কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষার্থীরা ও
সাধারন মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করে
আসছে।
একটু বৃষ্টি হলেই যানবাহনতো দূরের কথা মানুষ
পায়ে হেটে চলাচল করতে পারছেনা বলে জানান
এলাকার শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ। এই ব্যপারে
উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
মোঃ জাকির হোসেন জানান, প্রায় ১৮ বছর পূর্বে
সুলতান চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই সড়কটির উন্নয়ন
হয়েছিল। এই সড়কের প্রায় আড়াই কিঃ মিঃ পিচঢালাই ছিল
এবং বাকি সড়কটি কাচা ছিল।
তার পর থেকে আজ পর্যন্ত এই সড়কে
উন্নয়নের ছুয়া লগেনি। দিনে দিনে এই সড়টির
পিচঢালাই ও খোয়া গুলো উঠে মানুষের চলাচলে
মরন ফাদে পরিনত হচ্ছে। কাচা সড়কটি কাদায় ও
গর্তে করনে শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ চলাচলে
প্রতিনিয়ত পিছিল খেয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
ড্রেস এবং বই খাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন
পূর্বে আমার উদ্যোগে কিছু ইটের খোয়া এই
সড়কের বিভিন্ন খানা খদ্দে দিলেও বৃষ্টির কারনে
নষ্ট হয়ে যায়। এই ব্যপারে নাগাইস গ্রামের ৭০
বছরের বৃদ্ধা মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম,
হাজী মোসলেম উদ্দিন, আঃ রহিম ও মহিউদ্দিন
জানান, এই সড়কের কারনে অনেকেই আমাদের
এলাকার মানুষের সাথে সম্পর্ক করতে চায় না এবং
কোন রোগী ও গর্ভবর্তী মাকে সময় মত
হাসপালে নেওয়া সম্ভব হয়না। গত কিছুদিন পূর্বে
কালাম কান্দী বিদ্যুৎ উদ্বোধনকালে সাবেক
আইনমন্ত্রী এড. আবদুল মতিন খসরু এমপি ও
উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী
এই সড়টি সংস্কার দিবে বলে এলাকবাসীকে
আশস্ত করেন।
কিন্তু তার পরও এই সড়কের কোন উন্নয়নের
আবাস পাচ্ছিনা আমরা। আমরা এলাকাবাসী বিভিন্ন
গণমাধ্যমের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট
আহবান জানাচ্ছি যে আমাদের এই সড়টি সংস্কার করে
চলাচলের উপযোগি করে দেওয়া হউক।
13 September 2015
Author: নতুন প্রজন্ম কুমিল্লা
কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।
আরো দেখুনঃ
- Blog Comments
- Facebook Comments