27 August 2015

নাঙ্গলকোটে সড়কে বেহাল অবস্থা

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি : নাঙ্গলকোটের প্রধান-প্রধান সড়কগুলোর বেহাল দশা। সড়কগুলোর একেকটি ছোট-বড় খানাখন্দে যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে অসংখ্য ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত নাকাল হতে হচ্ছে। বর্তমানে টানা বর্ষণে ছোট-বড় বিভিন্ন সড়কে পানি ওঠায় সড়কগুলোর আরো বেহাল দশা বিরাজ করছে। এলজিইডির ৫টি সড়ক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ১টি সড়কের সবচাইতে বেহাল দশা বিরাজ করছে। এলজিইডির বিপর্যস্ত প্রধান সড়কগুলো হচ্ছে নাঙ্গলকোট-মাহিনী-বাঙ্গড্ডা সড়ক, নাঙ্গলকোট-মৌকারা-নারানদিয়া সড়ক, মাহিনী-হাসানপুর সড়ক, ঢালুয়া-বক্সগঞ্জ সড়ক এবং নাঙ্গলকোট-দৌলখাঁড়-বক্সগঞ্জ সড়ক। এ ছাড়া, বর্তমানে বন্যায় গ্রামীণ অনেক ছোট-বড় কাঁচা-পাকা সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এদিকে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের লাকসাম-নাঙ্গলকোট-ঢালুয়া-চিওড়া বিশ্বরোড সংযোগ সড়কটির বর্ধিতকরণের কাজ শুরু হলেও সড়কটির কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় সড়কটির অসংখ্য খানাখন্দ দিয়ে এলাকাবাসীকে যাতায়াতে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে সড়কটির লাকসাম অংশে লাকসাম বাইপাস পার হয়ে নাঙ্গলকোট অভিমুখে ধামৈচা থেকে আমদুয়ার এবং নাঙ্গলকোট অংশের নাঙ্গলকোট পৌরসভা থেকে ঢালুয়া হয়ে চিওড়া বিশ্বরোড সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশায় যাত্রীদের সবচাইতে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আগামী দুই বছরেও সড়কটির বর্ধিতকরণ কাজ সমাপ্ত হওয়া নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গত প্রায় ৩ বছর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দিয়ে এলাকাবাসীকে ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান। উল্লেখিত প্রত্যেকটি সড়কের সর্বত্র ছোট- বড় অসংখ্য খানাখন্দ রয়েছে। অসংখ্য খানাখন্দের মধ্যে দিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মালবাহি ট্রাক, ট্রাকটর, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাসে যাতায়াতে এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি সইতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর যাতায়াত সিএনজি চালিত অটোরিকশা নির্ভর হওয়ায় যাতায়াতে ছোট-বড় খানাখন্দকে পড়ে এলাকাসীকে সবচাইতে বেশি নাকাল হতে হয়। সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতে অসুস্থ রোগীদের আরো অসুস্থ হতে হচ্ছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সালমান রহমান রাসেল বলেন, উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সড়ক মেরামতের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প দেয়া আছে। এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। নাঙ্গলকোট-মাহিনী-বাঙ্গড্ডা সড়ক, ঢালুয়া-বক্সগঞ্জ সড়ক মেরামতের জন্য প্রক্কলন ব্যয় তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নাঙ্গলকোট-দৌলখাঁড়-বক্সগঞ্জ সড়কের মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি সৃষ্ট বন্যায় অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশক্রমে সড়কগুলোর প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।